ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

কুড়িগ্রাম পিস কমিটির নেতা নবাবপুত্র আসাদুলের বহিষ্কার দাবি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৪৭ পিএম, ১৮ জুন ২০২১ শুক্রবার

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা বধ্যভূমিতে মানববন্ধন করেছে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ ও মুক্তিযাদ্ধার সন্তানেরা। 

শুক্রবার (১৮ জুন) সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত এ সমাবেশ থেকে একাত্তরে স্বাধীনতাযুদ্ধের অন্যতম রাজাকার নবাব আলীর পুত্র স্থানীয় কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের কেন্দ্রীয় উপদফতর সম্পাদক আসাদুল হকের বহিষ্কার দাবি করা হয়। 

মানববন্ধনে উপস্থিত নেতাকর্মীরা তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে আসাদুলকে আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করেন। তাদের বক্তব্যে উঠে আসে মুক্তিযুদ্ধকালীন আসাদুলের পিতা নবাব আলীর নৃশংস কর্মকাণ্ড। এমনকি আসাদুলের অন্য ভাইয়েরাও জ্বালাও পোড়াও মামলার আসামী-যার প্রমাণ এলাকার আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে রয়েছে বলে জোর দাবি করেন নেতারা। আসাদুলের পিতা নবাব আলী কুখ্যাত রাজাকার হওয়া সত্বেও তিনি কিভাবে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উপদপ্তর সম্পাদক এবং উলিপুর উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহবায়ক পদে আসীন হন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মানববন্ধনে অংশ নেয়া মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণ পরিষদের নেতারাও। 

উল্লেখ্য, নবাব আলী ১৯৭১ সালে বাঙালির মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বৃহত্তর রংপুর জেলার কুড়িগ্রাম মহকুমা পিস কমিটির ১৭ নং সদস্য ছিলেন। এমনকি তিনি উলিপুর উপজেলা পিস কমিটিরও ৭ নং সদস্য ছিলেন। স্বাক্ষর রয়েছে তৎকালীন পিস কমিটির বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সভায় অংশগ্রহণের। 

এ সময় বিভিন্ন গবেষণা বইয়ের তথ্যও তুলে ধরেন উপস্থিত নেতারা। বক্তব্যে জানানো হয়, নবাব আলী কর্তৃক সেই সময়ের হত্যা ধর্ষণ ও লুটপাটের তথ্য। 

আসাদুল হক রাজাকার নবাব আলীর ৪ নম্বর পুত্র। এমনকি এক সময় এই আসাদুল হক জাসদ ছাত্রলীগের সাথেও যুক্ত ছিলেন বলে মানববন্ধনে দাবি করা হয়। তার এক ভাই স্থানীয় বিএনপির নেতা। যিনি নাশকতার মামলার দুই নম্বর আসামি। এমনকি তার অপর ভাইদের বিরুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও ছবি ভাংচুর এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি পোড়ানোর মামলা রয়েছে। 

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি আল আমিন। সঞ্চালনা করেন সাইমুল শোভন। 

মানববন্ধনে বিশিষ্ট মুক্তিযাদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক অবসরপ্রাপ্ত মেজর এ এস এম সামসুল আরেফিন, বিশিষ্ট লেখক ও বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক এস এম আব্রাহাম লিংকনের লেখা বিভিন্ন গ্রন্থের রেফারেন্স দেয়া হয়। উল্লেখ করা হয় উল্লেখযোগ্য বইয়ের পৃষ্ঠানম্বর।

এ সময় প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ করেন স্থানীয় ছাত্র জনতা, কৃষক শ্রমিক ও সাধারণ শ্রমজীবীর দল। তাঁরা রাজাকার নবাব আলীর পুত্র আসাদুল হককে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অনুপ্রবেশকারী আখ্যা দিয়ে দ্রুত বহিষ্কার ও শাস্তি দাবি করেন।

এসি