ঢাকা, শনিবার   ০৯ আগস্ট ২০২৫,   শ্রাবণ ২৫ ১৪৩২

পঁচা-বাসি ও ক্ষতিকর রাসায়নিক মিশ্রিত ইফতারি পণ্য রোজাদারদের হাতে

প্রকাশিত : ১১:১০ এএম, ১৭ জুন ২০১৭ শনিবার

রমজান মাসে রাজধানীসহ সারাদেশে অসংখ্য ইফতারির দোকান গড়ে ওঠে। শহর- গ্রামের বহু মানুষ এ’সব দোকান থেকে পছন্দের ইফতার কিনে নেন পরিবারের জন্য। তবে, এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ি অধিক লাভের আশায় পঁচা-বাসি ও ক্ষতিকর রাসায়নিক মিশ্রিত ইফতারি পণ্য তুলে দিচ্ছেন রোজাদারদের হাতে। রাজধানী ঘুরে দেখা গেছে, দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা দু’বেলা খাবার না পেলেও প্রতিদিন ভাগাড়ে যায় বিপুল পরিমান খাদ্যদ্রব্য। 

এই পরিচ্ছন্ন কর্মীর কাজ বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে ময়লা নিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা। ওই পরিচ্ছন্ন কর্মী রোজা রেখে দু’বেলা ভাল ইফতার বা সেহরি খাওয়ার সুযোগ পান না। অথচ নিজের হাতে বিপুল পরিমান উচ্ছিষ্ট খাবার ময়লার গাড়িতে বয়ে নিয়ে যেতে হয় তাকে।
একদিকে ইফতারির বিশাল আয়োজন; অন্যদিকে অসহায় মানুষগুলোর শুধুই অভাব অনটন।

রমজানের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয় ইফতারের আয়োজন। তবে, নগরীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, খোলা ড্রেনের পাশে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, মশা মাছির অবাধ বিচরণ। একই তেল দিয়ে কয়েকদিন ধরে ভাজা হয় বেগুনি, পেঁয়াজু।
কয়েকদিনের পঁচাবাসী ও ভেজাল খাবার সরবরাহ করা হয় রোজাদারদের। মাঝে মাঝে ভ্রাম্যমান আদালতের বিশেষ অভিযানে বেরিয়ে আসে সুন্দর মোড়কে বিক্রি করা ইফতারের আসল রূপ।

ইফতার পণ্য যাতে ব্যাকটেরিয়ায় নষ্ট না হয়, সেজন্য জনস্বার্থের জন্য ক্ষতিকর অ্যামোনিয়া নাইট্রেট সহ বিভিন্ন ধরণের রাসায়নিকের ব্যবহার হয় যথেচ্ছভাবে।
ইফতারের জন্য টাকা খরচ করে বিশুদ্ধ পানি কিনলেও বিক্রেতারা ছলচাতুরির মাধ্যমে বিক্রি করে দূষিত পানি।
অসাধু ব্যবসায়িদের কারণে সারাদিন রোজা রেখে বিষাক্ত খাবার ও পানির কারণে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে মানুষ।