ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

নওগাঁর ছাত্রাবাস থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

নওগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৪:২৮ পিএম, ২৪ জুন ২০২১ বৃহস্পতিবার

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার একটি ছাত্রবাসের কক্ষ থেকে সুমি খাতুন (১৮) নামে এক গৃহবধূর হাত বাধা ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে মার্তৃছায়া নামে ছাত্রাবাস থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সকালে ময়না তদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। 
নিহত সুমি সাপাহার উপজেলার উত্তরপাতাড়ী গ্রামের তফিজুল ইসলামের ছেলে সেলিম রেজার স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী সেলিম পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দাযের হয়েছে এবং রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা।

পুলিশ জানায়, মাত্র ৯ মাস আগে সেলিম পাশের পত্নীতলা উপজেলার দিবর গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে সুমিকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী সুমি খাতুনকে গ্রামের বাড়িতে রেখে সেলিম বেসরকারি একটি কোম্পানীর চাকরি সুবাধে সদর উপজেলার সৌদি মসজিদ সংলগ্ন মাতৃছায়া ছাত্রাবাসের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিল।

গত মঙ্গলবার আলী হোসেন মেয়ে সুমিকে জামাইয়ের বাড়ি হতে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান এবং বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সাপাহার উপজেলা সদরের জিরো পয়েন্টে জামাই সেলিমের কাছে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি চলে যান। সেলিম ওইদিন স্ত্রী সুমিকে নিয়ে মাতৃছায়া ছাত্রাবাসের কক্ষে গিয়ে উঠেন। এর কয়েক ঘন্টা পর সেলিম তার শ্বশুরকে মোবাইলে ফোন দিয়ে জানায়, আপনার মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। 

খবর পেয়ে সুমির বাবা ও পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এর আগেই সেলিম সেখান থেকে পালিয়ে যায়। নিহত সুমির পিতা আলী হোসেন বলেন, এমন কোন ঘটনা ঘটেনি যে সুমি আত্মহত্যা করবে? তাকে  পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এই হত্যার সুষ্ঠ বিচার চাই। 

পরে খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সুমির বাম হাত সুতলি দড়ি দিয়ে বাধা এবং গলায় গামছা পেছানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার বলেন, লাশের শরীরে হত্যার বিভিন্ন আলামত পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং নিহতের স্বামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাকে পেলেই এই মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে।

এএইচ/