ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে ফেসবুকে উচ্ছ্বাস, ৯ কিশোর আটক

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৭:৩৫ এএম, ২৯ জুন ২০২১ মঙ্গলবার

হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আহত স্কুলছাত্র ইমন রহমান

হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আহত স্কুলছাত্র ইমন রহমান

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় ইমন রহমান নামে (১৪) এক স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে জখমের পর ফেসবুকে সেলফি দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে কিশোর গ্যাংয়ের ৯ সদস্য। এ ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের ওই ৯ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি ধারালো চাপাতি ও একটি রামদা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় সোমবার (২৮ জুন) চুয়াডাঙ্গা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এর আগে রোববার (২৭ জুন) রাতে সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের দশমী গ্রাম থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। 
 
আটককৃত কিশোর গ্যাংয়ের ৯ সদস্যরা হলো- চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মাঝেরপাড়ার আতিয়ার রহমানের ছেলে ওসমান গনি আসিফ (১৯), একই এলাকার বিটুল পারভেজের ছেলে রাতুল (১৭), লিপুর ছেলে শিশির (১৬), বাগানপাড়ার রাশিদুল ইসলামের ছেলে সন্দিপ (১৬), সিঅ্যান্ডবিপাড়ার মানিক মিয়ার ছেলে খালিদ (১৫), পোস্ট অফিসপাড়ার জিয়ারুল হকের ছেলে সোহান (১৬), সদর উপজেলার হাতিকাটার গ্রামের সোহেল রানার ছেলে অনিক জোয়ার্দ্দার (১৬), দৌলতদিয়াড় গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে প্রিন্স (১৬) ও একই এলাকার আশরাফুলের ছেলে ইমন (১৬)।

পুলিশ জানায়, একটি মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে রোববার (২৭ জুন) সন্ধ্যার পর শহরের ইসলামী হাসপাতলের সামনে ইমন নামের ওই স্কুলছাত্রকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে এই কিশোর গ্যাং। রাতে তারা সেলফি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপলোড দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। সেই রাতেই মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে দশমী গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে পুলিশ। 

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, আটক ৯ জনই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। তাদের কাছ থেকে চারটি ধারালো চাপাতি ও একটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে আটকদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, একটি মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে আটক সোহান গ্রুপ ও ইমন গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এই নিয়ে গত শুক্রবার (২৫ জুন) সকালে ইমনসহ বেশ কয়েজন সোহানকে মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। একই দিন দুপুরে সোহান গ্রুপের কয়েকজন ইমনের বাবার দোকানসহ বাড়িতে হামলা চালায়। এই নিয়ে পরদিন উভয়পক্ষের অভিভাবকের উপস্থিতিতে সদর থানায় বিষয়টি মীমাংসা হয়। 

এরপর রোববার সোহান গ্রুপের ছেলেরা ইমনকে একা পেয়ে কুপিয়ে জখম করে।

এএইচ/