ঢাকা, শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৬ ১৪৩১

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে রেকর্ড

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২৫ এএম, ৩০ জুন ২০২১ বুধবার

করোনার মধ্যেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে রেকর্ড হয়েছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর ভর করে দেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন ৪৬ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। মঙ্গলবার (২৯ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৪৬.০৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

চলতি মাসের (জুন) ২৮ তারিখ পর্যন্ত ১৭৫ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা তার আগের বছর (২০২০ সাল) একই মাসের থেকে ১০ কোটি ডলার বেশি। গত ২০২০ সালের জুন মাসে দেশে প্রবাসী আয় আসে ১৬৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অর্থবছরের শুরু থেকে দেশে এখন পর্যন্ত (২৮ জুন) দুই হাজার ৪৫৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছে। হিসাব বলছে, আগের বছরের তুলনায় এ বছর রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধির হার ৩৬ দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের একই সময়ে আসে এক হাজার ৮০৩ কোটি ডলার। রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে গত বছরের মার্চে করোনা শুরুর পর থেকে রিজার্ভে যোগ হয়েছে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার। ২০২০ সালের মার্চ শেষে যেখানে রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। এরপর প্রতি মাসে রিজার্ভ বাড়তে থাকে। 

চলতি বছরের ২৪ জুন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৫ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। ১ জুন প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় ৪৫ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলারে। তার আগে ৩ মে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৫ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছিল। 

এর আগে, ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ছিল ৪৩ বিলিয়ন ডলার, ১৫ ডিসেম্বর ৪২ মিলিয়ন এবং ২৮ অক্টোবর রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল।

দেশের এ রিজার্ভ দিয়ে ১১ মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ থাকতে হয়।

এএইচ/