ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৬ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

প্রত্যাবর্তনই পাণ্ডবের সুখস্মৃতি!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:১৯ পিএম, ১২ জুলাই ২০২১ সোমবার

সতীর্থদের দেয়া গার্ড অফ অনার নিচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

সতীর্থদের দেয়া গার্ড অফ অনার নিচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

হারারে টেস্টের তৃতীয় দিন শেষেই ক্রিকেটের বনেদী এই ফর্মেট থেকে অবসরের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনও বিবৃতি দেয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বা এই ব্যাটসম্যান। তবে রোববার পঞ্চম দিনে মাঠে নামার আগে টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায়ের চূড়ান্ত বার্তাই যেন দিয়ে রাখলেন মাহমুদউল্লাহ।

এদিন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানকে গার্ড অব অনার দিয়েছেন সতীর্থরা। ফলে আর ঘোষণা না দিলেও চলে যে, এটাই তাঁর শেষ টেস্ট। অথচ, এই টেস্ট দিয়েই প্রায় দেড় বছর পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই টেস্ট দিয়েই সাদা পোশাকে ফেরেন টাইগার পঞ্চপাণ্ডবের এক পাণ্ডব মাহমুদউল্লাহ। প্রত্যাবর্তনে দলের বিপর্যয়ে খেলেছেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। অপরাজিত ছিলেন ১৫০ রান করে।

হারারে টেস্টের তৃতীয় দিন সকালে টিম মিটিংয়ে টেস্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন মাহমুদউল্লাহ। বোঝাই যাচ্ছে, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে আরও বেশি মনোযোগী হতেই তিনি টেস্টকে বিদায় বলার কথা ভাবছেন। হয়তো, পিঠের পুরনো ইনজুরিটাও এর একটা কারণ। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও জানিয়েছেন, মাহমুদউল্লাহ টেস্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন।

আর তাঁরই যেন আনুষ্ঠানিকতা হলো হারারের পঞ্চম দিন সকালে। দারুণ এক সম্মাননা পেলেন সতীর্থদের কাছ থেকে। তবে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটা ঠিকই চালিয়ে যাবেন তিনি। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এখনও দলের অপরিহার্য অংশ অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কের দায়িত্বটাও আছে মাহমুদউল্লাহর কাঁধেই।

২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক হয় মাহমুদউল্লাহর। এরপর দেশের হয়ে খেলেছেন ৫০টি টেস্ট ম্যাচ। এই ৫০ ম্যাচের ৯৪ ইনিংসে ৩৩.১১ গড়ে ২৯১৪ রান সংগ্রহ করেছেন মাহমুদউল্লাহ। টেস্টে ১৬টি হাফ সেঞ্চুরির সাথে রয়েছে পাঁচটি সেঞ্চুরি।

এই ফর্মেটে বল হাতেও মোটামুটি সফল ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ৬৫ ইনিংস বল করে ৪৫.৩৩ গড়ে শিকার করেছেন ৪৩টি উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট পেয়ে ছিলেন একবার। ম্যাচ সেরা বোলিং ফিগার ১১০ রান দিয়ে ৮ উইকেট শিকার।

অন্যদিকে, ১৯৭ ওয়ানডেতে ৩৫ গড়ে ৭৭.১৭ স্ট্রাইকরেটে ৪ হাজার ৪১০ রান সংগ্রহ করেছেন মাহমুদউল্লাহ। ২৫টি হাফ সেঞ্চুরির সাথে রয়েছে ৩টি সেঞ্চুরি। তিনটি সেঞ্চুরির দুটিই করেছেন ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে এবং বাকীটা ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। ওয়ানডেতে ৫.১৭ ইকোনমিতে ৪৭.৩ গড়ে ৭৬টি উইকেটও রয়েছে তাঁর।

আর ৮৯টি-টোয়েন্টিতে ২৩.৯ গড়ে ১২৩.১৪ স্ট্রাইকরেটে ১৫০৬ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ। কোনও সেঞ্চুরি না থাকলেও রয়েছে চারটি হাফ সেঞ্চুরি। টি-টোয়েন্টিতে বল হাতে ৩১টি উইকেট পেয়েছেন রিয়াদ।

এনএস//