ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

করোনারি হৃদরোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে কীভাবে মনছবি দেখবেন?

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০৮:২৭ পিএম, ১৮ জুলাই ২০২১ রবিবার

অবলোকন করুন, মনের বাড়ির নিরাময় কক্ষে প্রবেশ করেছেন আপনি। আপনার প্রিয় ডাক্তার সেখানে বসে আছেন। আপনি যাওয়ার পর কুশল জানতে চেয়ে ডাক্তার আপনাকে বিছানায় শুয়ে পড়তে বললেন। এরপর তিনি আপনার ঊরুর রক্তনালীতে বিশেষ একটি ইনজেকশন দিলেন।

ইনজেকশন থেকে নিঃসৃত আলোর কণা ফোটন অসংখ্য ছোট-বড় রক্তনালী বেয়ে পৌঁছে গেল আপনার হৃৎপিন্ডের করোনারি ধমনীতে। তারপর সেখানে জমে থাকা চর্বির স্তরকে চূর্ণবিচূর্ণ করে পাঠিয়ে দিচ্ছে কিডনিতে, আর কিডনি তা বর্জ্য হিসেবে মূত্রের সাথে বের করে দিচ্ছে।

এবার অবলোকন করুন, আপনার করোনারি ধমনীতে চমৎকারভাবে রক্ত চলাচল করছে এবং এখন তাতে আর কোনো ব্লকেজ নেই। আপনার হৃৎপিন্ড আগের মতোই সুস্থ সুন্দরভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আপনি ফিরে পেয়েছেন আপনার স্বাভাবিক জীবন আর তারুণ্যদীপ্ত কর্মচাঞ্চল্য।

করোনারি হৃদরোগে ভুগছেন যারা, তারা দিনে দুবার এ পদ্ধতিতে নিরাময়ের মনছবি দেখুন। মেডিটেটিভ লেভেলে পঞ্চ-ইন্দ্রিয়ের সবগুলো অনুভূতিকেই কাজে লাগিয়ে সুস্থতার আনন্দ অনুভব করুন। দেহ-মনে এ আনন্দ-অনুরণন ছড়িয়ে দিন। স্বাভাবিক জাগ্রত অবস্থায়ও যখনই সময় পাচ্ছেন, সচেতনভাবে বার বার সুস্থ ধমনী ও সুস্থ হৎপিন্ডের দৃশ্যকল্প অবলোকন করুন। নিরাময়ের জন্যে এটি অত্যন্ত কার্যকরী।

ডা. ডিন অরনিশ তার প্রোগ্রাম ফর রিভার্সিং হার্ট ডিজিজ বইয়ে মনের এ শক্তি সম্বন্ধে লিখেছেন—‘হৃদরোগীরা কল্পনায় সবসময় দেখেন ব্লকেজযুক্ত করোনারি ধমনী। কিন্তু তারা যদি নিয়মিত সচেতনভাবে সুস্থ ও কোলেস্টেরল-প্লাকমুক্ত ধমনী অবলোকন করেন, তখন সত্যিই একসময় ধমনীর জমাটবদ্ধ কোলেস্টেরল ধীরে ধীরে নিঃসৃত হতে শুরু করে।’

তাই ক্রমাগত দুশ্চিন্তায় রোগ সৃষ্টি না করে সচেতনভাবে ইতিবাচক চিন্তার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে উঠুন। মনোবিজ্ঞানীদের ভাষায়, Where mind goes, energy flows.

লেখাটি ডা. মনিরুজ্জামান ও ডা. আতাউর রহমান এর লেখা এনজিওপ্লাস্টি ও বাইপাস সার্জারি ছাড়াই ‘হৃদরোগ নিরাময় ও প্রতিরোধ’ শীর্ষক বই থেকে নেয়া। 

আরকে//