ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

সাহায্য চাইতে এসে উপহার পেলেন সবজীসহ ভ্যানগাড়ি

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

প্রকাশিত : ০৯:৫৭ পিএম, ১৮ জুলাই ২০২১ রবিবার

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে করোনায় কাজ হারিয়ে মানুষের কাছে হাত পেতে সাহায্য নিতে এসে খোঁজে পেলেন জীবন চালানোর নতুন পথ। কিছু দিন আগে রোটারী ক্লাব অব শ্রীমঙ্গলের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান রিপনের কাছে সংসারের অভাব অনটনে পড়ে সাহায্য নিতে আসেন শ্রীমঙ্গল সিরাজনগরের মঞ্জু কর। আগে বিয়ে সাদিতে তিনি সানাই বাজাতেন। এখন বিয়েতে কেউ বাজনা নিচ্ছেন না। তাই তিনিও বেকার। তার বিষয়টি অবগত হয়ে মশিউর রহমান রিপন তার ক্লাবের সবার সাথে আলোচনা করে তার জীবন চালানোর জন্য একটি ভ্যান গাড়ি দেয়ার ব্যবস্থা করেন।

 রবিবার বিকেলে শ্রীমঙ্গল কলেজ রোডস্থ রোটারী ক্লাব প্রাঙ্গনে রোটারী ক্লাব অব শ্রীমঙ্গলের উদ্যোগে করোনায় কর্ম হারানো এই বাদ্যযন্ত্র শিল্পীকে সবজীসহ একটি ভ্যানগাড়ি উপহার দেয়া হয়। 

রোটারীক্লাব অব সিলেটের ডিস্ট্রিক টেইনার অবসর প্রাপ্ত কর্ণেল পিডিজি এম আতাউর রহমান পীর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অসহায় মঞ্জু বাদ্যকরের হাতে এ ভ্যান গাড়িটি তুলেদেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রোটারীক্লাব অব শ্রীমঙ্গলের সভাপতি হুমায়ুন কবির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান রিপন, এডিশনার ডিস্ট্রিক ট্রেইনার পিপি এ কে এম সামছুল হক ও পিপি এ এইচ এম ফয়সাল, রোটারিয়ার সিরাজুল ইসলাম, রোটারিয়ান অবিনাশ আচার্য, রোটারিয়ান মো: জাকারিয়া, রোটারিয়ান সাজ্জাদুর রহমান সাজু, রোটারিয়ান রিপন পাল, রোটারিয়ান শাহ আরিফ আলী নাছিম, পল হেরিস কিন্ডার গার্ডেন স্কুল এর প্রধান শিক্ষক দিল আফরোজ, সহকারী শিক্ষক দেব অর্জমা অরা প্রমূখ। 

এ সময় অতিথিরা উপহার দেয়া ভ্যান চালকের কাছ থেকে সবজি ক্রয় করেন। রোটারি ক্লাব অব শ্রীমঙ্গলের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান রিপন জানান, করোনার এই সময়ে এই বাদ্যযন্ত্র শিল্পী মঞ্জু কর নিজের কর্ম থেকে বঞ্চিত রয়েছে। তার সংসার পরিচালনা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। এক প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী উপহার দিলে ২তিন বেলা খেয়েই শেষ হয়ে যাবে। এ বস্থায় তার জীবন পরিচালনায় স্থায়ী কিছু করার চিন্তা থেকে তাকে প্রথম চালানের সবজীসহ এই ভ্যানগাড়িটি উপহার দেয়া হয়।

রোটারিয়ান রিপন পাল জানান, প্রথম দিন আমরা অনেকেই তার কাছ থেকে সবজী ক্রয় করেছি। তার পুঁজির ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এই টাকা দিয়ে সে প্রতিদিন সবজি ক্রয় করতে পারবে এবং এর লভ্যাংশ দিয়ে তার সংসার চলবে।

মঞ্জু কর জানান, গত দেড় বছর ধরে বিয়ে সাদিতে তাকে কেউ ডাকেনি। খুব কষ্ট করে চলছে সংসার। এথন মানুষের কাছে হাত পাতা ছাড়া উপায় নেই। এ বস্থায় তার কাছে দেবদ্রুত হয়ে এসেছেন শ্রীমঙ্গল রোটারী ক্লাবের সদস্যরা। তারা তার চোখের সামনে থেকে ঘোর অন্ধকার দূর করে দিয়েছেন। রোটারী ক্লাবের সকল সদস্যদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

আরকে//