ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

তামিম-সাকিবে উড়ছে বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:১৫ পিএম, ২০ জুলাই ২০২১ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৭:৫৫ পিএম, ২০ জুলাই ২০২১ মঙ্গলবার

জিম্বাবুয়ের দেওয়া বিশাল লক্ষ্যর দিকে ছুটছে বাংলাদেশ। আর এই ছুটে চলার কাণ্ডারি হিসেবে আছেন তামিম ইকবাল। প্রথমে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল আর লিটন দাস দেখে শুনে খেললেও ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়িয়ে দেয় এই দুই যুগল।

ওভারপ্রতি সন্তোষজনক ছয়ের ওপর রান নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। এরই মধ্যে তামিম ক্যারিয়ারের ৫২তম হাফসেঞ্চুরিও তুলে নেন মাত্র ৪৬ বলে। কিন্তু তামিমের ফিফটি ছোঁয়া ওভারেই উইকেট হারিয়েছেন লিটন।

ওয়েসলে মাদভেরে নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই সাজঘরে ফিরিয়েছেন লিটনকে, তাতে ভেঙেছে ৮৮ রানের উদ্বোধনী জুটি। সুইপ খেলতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ হয়েছেন এই ওপেনার। ৩৭ বলে ৩ বাউন্ডারিতে তিনি করেন ৩২ রান।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৪ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১৪২ রান। তামিম ৭২ বলে ৭৭ আর সাকিব আল হাসান ৩৫ বলে ২৭ রানে অপরাজিত আছেন।

এর আগে বাংলাদেশের বোলিং ব্যর্থতায় বেশ ভাল রান করে জিম্বাবুয়ে। সবকটি উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকরা সংগ্রহ করেছে ২৯৮ রান।    

সিরিজের সেরা ব্যাটিং উইকেটে শুরুটা ভালো করেও এক পর্যায়ে তারা অস্বস্তিতে ছিল ১৭২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে। ষষ্ঠ উইকেটে সিকান্দার রাজা ও রায়ান বার্লের দারুণ জুটি দলকে এগিয়ে নেয় বড় স্কোরের পথে। ৮০ বলে ১১২ রানের জুটি গড়েন দুজন। শেষ তিন ওভারে প্রত্যাশিত রান না উঠলেও শেষ ১০ ওভারে জিম্বাবুয়ে তুলেছে ৯৪ রান।

সিরিজের আগের দুই ম্যাচ বাংলাদেশের বোলিং দুর্দান্ত হলেও এ দিন ছিল একদমই বিবর্ণ। তাসকিন ছিলেন অধারাবাহিক, সাইফ উদ্দিন এলোমেলো। দলে ফিরে মুস্তাফিজ ছিলেন ভালো-মন্দ মিলিয়ে। সাকিব খারাপ করেননি। তবে দলের সেরা বোলার ছিলেন সম্ভবত মাহমুদউল্লাহ।

এখন এই চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে হলে অনেক ভালো খেলতে হবে বাংলাদেশকে।

শুরুটা যদিও খুব সাবধানী ছিল জিম্বাবুয়ের। টস জিতে শুরুতে বোলিং নিলেও বাংলাদেশের দুই পেসার উইকেট ফেলতে পারেননি। বরং নবম ওভারে বোলিং করতে এসে ব্রেক থ্রুটা এনে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। সুইপ করতে গিয়ে এলবিডাব্লিউতে ফেরেন ওপেনার তাদিওয়ানাশে মারুমানি (৮)।

প্রথম উইকেট পতনের পর সম্ভাবনাময় দেখাচ্ছিল টেলর ও চাকাভা জুটি। শুরুর অস্বস্তি কাটিয়ে উঠে তারা। হয়তো আরও ভয়ানক হয়ে ওঠতে পারতো এই জুটি, তার আগেই ১৮তম ওভারে এই জুটি ভেঙেছেন দুইশোতম ওয়ানডে খেলতে নামা মাহমুদউল্লাহ। ফেরান ২৮ রান করা টেলরকে।

অধিনায়ক ফিরলেও হাল ধরেন রেজিস চাকাভা। ডিয়োন মায়ার্স এর সঙ্গে জুটি গড়ে তুলে নেন ৭১ রান। পরে এই প্রতিরোধ ভেঙে আবারও স্বস্তি ফিরিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহই। ৩৪ রান করা মায়ার্স ফিরে যান বোল্ড হয়ে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

জিম্বাবুয়ে: ৪৯.৩ ওভারে ২৯৮ (চাকাভা ৮৪, মারুমানি ৮, টেইলর ২৮, মায়ার্স ৩৪, মাধেভেরে ৩, রাজা ৫৭, বার্ল ৫৯, জঙ্গুয়ে ৪* টিরিপানো ০, চাতারা ১, মুজারাবানি ০; তাসকিন ১০-১-৪৮-১, সাইফ ৮-০-৮৭-২, মুস্তাফিজ ৯.৩-০-৫৭-৩, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৪৫-২, সাকিব ১০-০-৪৬-১, মোসাদ্দেক ২-০-১৩-০)।

এসি