ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৭ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন

দেশে প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক সৎকার প্রশিক্ষণ কর্মশালা

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০৯:৫৭ পিএম, ২ আগস্ট ২০২১ সোমবার

করোনায় মৃত্যু বলেই যথাযত মর্যাদায় সৎকার হবে না এমনটা হতে পারে না। গত বছর বাংরাদেশে করোনা প্রবেশ করার সাথে সাথেই কোয়ান্টাম ঘোষণা করে ‘প্রত্যেক মৃত ব্যক্তি তিনি যেই ধর্ম বর্ণ গোত্রেরই হোন না কেন, আমরা পরম মমতায়, স্ব অর্থে শেষ বিদায়ের কাজ সম্পন্ন করব’।

দলে দলে স্বেচ্ছাসেবীরা যোগ দিতে লাগলেন। তৈরি হল ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের ভিন্ন ভিন্ন টিম, পুরুষ মৃতের জন্যে পুরুষ, মহিলা মৃতের জন্যে মহিলা টিম। নিয়মিতই আয়োজন হতে লাগল দাফন সৎকার প্রশিক্ষণ কর্মশালা। 

তবে সনাতন ধর্মীয় পুরুষ মহিলা মৃতের সৎকার কার্যক্রমের জন্যে আরো প্রয়োজনীয় স্বেচ্ছাসেবী তৈরির লক্ষ্যে গতকাল  ১ আগস্ট রোববার এই প্রথম শুধুমাত্র সৎকার প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করেছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম সেন্টার। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় কাউন্সিলর- ৩২ নং আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড জনাব জহর লাল হাজারী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২২, ৩০ ও ৩১ নং ওয়ার্ডেও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নীলু নাগ এবং হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের এডিশনাল ডাইরেক্টর জনাব রিংকু শর্মা। আরো উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের সম্মানিত দ্বায়িত্বশীল বাবু সুভাস দত্ত। 

বক্তারা কোয়ান্টামের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও এর বিস্তৃত সেবা কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা ও উত্তোরত্তর সাফল্য কামনা করেন। কোয়ান্টাম দাফন টিমের প্রধান প্রশিক্ষক সৈয়দ মুসতাফা মুনিরুদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের কাজীর দেউড়ি শাখায় অনুষ্ঠিত হয়। ‘একজন মানুষের শেষ বিদায় যেন হয় মমতার পরশে’ এ মূলমন্ত্রে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন ২০০৪ সাল থেকেই স্বেচ্ছা দাফন কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি দক্ষ ও আন্তরিক দাফন ও সৎকার স্বেচ্ছাসেবী তৈরি করার জন্যেও কাজ করে চলেছে। 

প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক যে কোন পুরুষ মহিলার জন্যে উন্মুক্ত এ প্রোগ্রামে ৩৯ জন পুরুষ ১৩ জন নারী  অংশ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ‘একজন মৃত মানুষকে শেষ বিদায়ে এত মমতা দেয়া যায় এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তা দেখলাম এবং শিখলাম। এমন প্রশিক্ষণের আয়োজন আরো হওয়া উচিৎ’।

আরকে//