ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৭ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

মৌলভীবাজারে সাপে কামড়ের ঘটনা বাড়লেও নেই কোন চিকিৎসা

বিকুল চক্রবর্তী, মৌলভীবাজার

প্রকাশিত : ১২:৪০ পিএম, ৩ আগস্ট ২০২১ মঙ্গলবার

মৌলভীবাজারের পাহাড়ী এলাকা ও বনাঞ্চলে বেড়েছে বিষাক্ত সাপ। প্রায়ই সাপের দংশনের খবর পাওয়া যায়। ইতিমধ্যে মারাও গেছেন একজন, আহত হয়েছে আরও অনেকে। কিন্তু জেলার কোন হাসপাতালে নেই সাপে কামড়ের চিকিৎসা এন্টিভেনম। একমাত্র উপায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।

চিকিৎসকরা বলেন, বিষাক্ত সাপে কামড়ের পর যত দ্রুত সম্ভব এন্টিভেনম দিতে হবে, না হলে মানুষকে বাঁচানো যাবেনা। কিন্তু শ্রীমঙ্গল বা কমলগঞ্জ থেকে সিলেট পৌঁছাতে অন্তত দুই থেকে আড়াই ঘন্টা সময় প্রয়োজন। ততক্ষণে সাপের কামড় খাওয়া ব্যক্তি শরীরে বিষক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ার কারণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এ অবস্থায় জরুরি হয়ে পড়েছে মৌলভীবাজার ও শ্রীমঙ্গলের হাসপাতালে এর চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি পাহাড়ী এলাকায় বিশেষ করে শ্রীমঙ্গলের দোকান, বাড়ি, বাজার ও গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিষধর সাপ। কামড় খেয়েছেন তিনজন, এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। সর্বশেষ গত ২৪ জুলাই শ্রীমঙ্গল নোয়াগাও গ্রামে সাপের কামড়ে ৮ বছরের এক শিশু আহত হয়েছে। ২৩ জুলাই ডুলুছড়া এলাকায় একটি দোকান থেকে বিশাল একটি দাঁড়াশ সাপ উদ্ধার করা হয়। ১৯ জুলাই জেরিন চা বাগান থেকে ৩টি জীবিত ও ২টি মৃত সাপ উদ্ধার করা হয়।

গত ৫ জুলাই শ্রীমঙ্গল এম আর খান চা বাগানে সাপের কামড়ে আহত হন চা শ্রমিক প্রবাসী নেপালী। ১১ জুলাই পৌরসভার কাঁচা বাজার ও ১০ জুন নতুন বাজার কাঁঠালবাহী জীপ গাড়ি থেকে বিপন্ন প্রজাতির দুটি সাপ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়াও চলতি বছরে অসংখ্য সাপ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে বলে জানান, শ্রীমঙ্গল বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব।

মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে দায়িত্বপ্রাপ্ত তত্ত্বধায়ক ডা: বিনেন্দু ভৌমিক জানান, এ হাসপাতালে সাপে কামড়ের এনন্টিভেনম নেই। এ ভেনম প্রদানের বেশ কৌশল রয়েছে প্রশিক্ষণ ছড়া এটি দেয়া সম্ভব না। এর জন্য জনবল প্রয়োজন। আইসিউ বেড থাকলে ভালো। কারণ এন্টিভেনম প্রদানের সময় এনাফাইলেকটিক শক হয়ে (বিরূপ প্রতিক্রিয়া) রোগী মারা যেতে পারেন।

সিভিল সার্জন ডা: জালাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, মৌলভীবাজার জেলায় সম্প্রতি সাপের কামড় ও উপদ্রবের বিষয়টি তিনি অবগত রয়েছেন। ইতিমধ্যে অনলাইনে সাপে কামড়ের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরাও এতে অংশ নেন। সাপের কামড়ের চিকিৎসা চালুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এএইচ/