জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন, আহত ২
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:০৪ পিএম, ৮ আগস্ট ২০২১ রবিবার

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের দক্ষিণ শোল্লা গ্রামে ছুরিকাঘাতে শ্বাশুড়িকে হত্যা করেছে মেয়ের জামাই শাওন মোল্লা (২৬)। নিহতের নাম হামেদা বেগম (৪৫)। নিহত হামেদা ওই গ্রামের মইফল ইসলামের স্ত্রী। রোববার সকাল আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত শাওন একই ইউনিয়নের উলাইল গ্রামের কাদের মোল্লার ছেলে। ঘটনার পরপরই শাওনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। এক বছর আগে মইফল ইসলাম ও হামেদা বেগমের মেয়ে তানিয়া আক্তারের সাথে শাওনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল।
নিহতের মেয়ে কনা আক্তার জানান, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই আমার বোন তানিয়াকে অকারণে টাকার জন্য মারধর করত শাওন। ইজিবাইক কিনে দেয়ার জন্য ইদানিং আমার বোনকে চাপ প্রয়োগ করত সে। প্রায় প্রতিদিন বাড়িতে ফিরত মাদক সেবন করে। এসব বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল তাদের মধ্যে। বিষয়টি নিয়ে ঈদের পরপর গ্রাম্য শালিসে দুজনের মধ্যে তালাকের সিদ্ধান্ত হয় এবং তা কার্যকর হয়।
কনা আক্তার বলেন, রোববার সকালে অতর্কিতভাবে আমাদের বাড়িতে আসে শাওন। এসেই গালিগালাজ করে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে শুরু করে আমার বোন তানিয়াকে। এমন অবস্থা দেখে মা ও আমার ভাইসহ আমরা ফেরাতে এলে আমাদেরও ছুরি দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। আমাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে শাওনকে ধরে ফেলে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় মা, আমার বোন তানিয়া ও ভাইকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নেয়ার পথে মৃত্যু হয় মায়ের। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বোন ও ভাইকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। এসময় চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে তাঁর মায়ের হত্যাকারী মাদকাসক্ত শাওনের বিচার দাবি করেন কনা।
নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় শাওনকে আটক করে। এ ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।
কেআই//