ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   ভাদ্র ৩১ ১৪৩২

শার্শায় স্কুলের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:০৩ পিএম, ৯ আগস্ট ২০২১ সোমবার

যশোরের শার্শায় একটি বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনিয়ম-দুর্নীতিতে বাধা দেয়ায় ঠিকাদারের পক্ষে এক হোমিও চিকিৎসক হুমকি দিয়েছে। এলাকাবাসীর দাবির মুখে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রকৌশলী। 

উপজেলা প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে কাজ করার কথা থাকলেও শুধুমাত্র প্রাচীরের উপরের অংশ ভেঙ্গে আবারো নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এলাকাবাসী জানান, গত দেড়মাস পূর্বে দক্ষিণ শার্শার পাঁচকায়বা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এ কাজের প্রথম থেকে ঝিনাইদহের কালিগঞ্জের ঠিকাদার রহমত আলী নিম্নমানের ইট, বালু ও খোয়া দিয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এলাকাবাসী এর প্রতিবাদ করলে ঠিকাদার রহমত আলী নিজেকে কালিগঞ্জের এক সংসদ সদস্যদের ভাগ্নে বলে পরিচয় দেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সংসদ সদস্য তার কোন আত্মীয় নয়। ঠিকাদারের পক্ষে বাগআঁচড়া বাজারের এক হোমিও চিকিৎসকের দিয়ে প্রতিবাদকারিদের হুমকি দেওয়া হয়। হোমিও চিকিৎসক নিজেকে একজন মানবাধিকার কর্মী বলে পরিচয় দেয়। 

এলাকাবাসী আরও জানান, সীমানা প্রাচীর নির্মাণে লিংটন ঢালাইয়ের মাঝে লোহার খাঁচা দেয়ার আদেশ থাকলেও ঠিকাদার রহমত আলী তা না করে নিম্নমানের বালু, খোয়া ও স্বল্প পরিমানে সিমেন্ট ব্যবহার করেন। যা এলাকাবাসী উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহতি করে ভেঙ্গে ফেলে। অতপর উপজেলা প্রকৌশলী এলাকাবাসীর চাপের মুখে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয় বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

এ ব্যাপারে ঠিকাদার রহমত আলী বলেন, ভাই আমার ভুল হয়েছে আমি পুনরায় নির্মাণ করে দেব। তবে নিউজ করবেন না।

ঠিকাদার রহমত আলীর নিজস্ব নির্মাণ শ্রমিক মোরাদ হোসেন প্রথমে স্বীকার না করলেও পরে তিনি বলেন, এ কাজের সম্পূর্ণ ত্রুটিযুক্ত। এমন নিম্নমানের কাজ কোথাও হয় না। এ নির্মাণ কাজের প্রথম থেকে এ পর্যন্ত ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার বা বিদ্যালয়ের পক্ষে কোন তদারকির লোক ছিল না।

তিনি আরও বলেন, এক বস্তা নিম্নমানের সিমেন্টের সাথে ২০ ঝুড়ি খোয়া, ১৬ ঝুড়ি বালু দিয়ে কোন লোহার রড ঢালাই দেয়া হয়েছে। কোন লিংটনে রডের খাঁচা দেয়া হয়নি বা লিংটনের সাথে পিলারের কোন জয়েন্ট নেই। ফলে একটু ঝড়ো হাওয়া হলেই প্রাচীরটি উল্টে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। পিলার গুলিতেও পরিমান মত রড দেয়া হয়নি। একই সুর মেলান সাথে থাকা অন্যান্য শ্রমিকরা।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মামুন খান বলেন, বিষয়টি জেনেই ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ ভেঙ্গে নতুন করে আমার উপস্থিতিতে কাজ করতে বলা হয়েছে। আমার উপস্থিতি ছাড়া কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে আমি কাজ শুরু করতে চাই। 
কেআই//