ঢাকা, শুক্রবার   ১৭ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

সেই ভয়াল স্মৃতি আজও তাড়া করে আহতদের (ভিডিও)

দিপু সিকদার

প্রকাশিত : ১১:২৮ এএম, ২১ আগস্ট ২০২১ শনিবার

বিএনপি-জামাত জোট সরকার আমলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে নারকীয় গ্রেনেড হামলায় আহতদের অনেকেই এখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি। সেদিনের সেই ভয়াল স্মৃতি আজও তাড়া করে ফেরে তাদের। পৈশাচিক ওই হামলায় নিহত হন ২৪ জন। করোনার কারণে থেমে থাকলেও শিগগিরই উচ্চ আদালতে মামলাটির শুনানি শুরু হবে।

২০০৪ সালের একুশে আগস্ট, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে নারকীয় গ্রেনেড হামলা। ক্ষমতায় তখন বিএনপি-জামাত জোট। অন্ধকার এক সময়। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার বক্তব্য শেষ করার পর পরই একের পর এক গ্রেনেড হামলা।

মানব ঢাল তৈরি করে বঙ্গবন্ধু কণ্যাকে রক্ষা করেন নেতা-কর্মীরা। 

শেখ হাসিনার গাড়ি লক্ষ্য করে চলতে থাকে গুলি। চারদিকে রক্ত, পড়ে আছে নিথর দেহগুলো। বঙ্গবন্ধু এভিনিউ যেনো মৃত্যুপুরী। আহতদের উদ্ধার না করে উল্টো টিয়ারশেল ছুড়তে থাকে পুলিশ।

ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে আহতদের আর্ত চিৎকার। স্প্লিন্টারে গুরুতর আহত হয়েও ভাগ্যজোরে বেঁচে ফেরেন অনেকেই।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম. কামাল বলেন, অনেকেই মনে করে, আমার পা প্রচুর ভাঙ্গা, প্রচুর স্লিন্টার আছে। এখনও রাতে প্রচণ্ড যন্ত্রণা করে স্প্লিন্টারের কারণে। এই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি যদি ভালো থাকতে না পারে, বাংলাদেশের মানুষ যাতে অন্ন বস্ত্র বাসস্থান ও চিকিৎসার নিশ্চয়তা না পায় এই কারণে বাংলাদেশে পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়নে জন্য সেদিন শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গ্রেডেন হামলা চালানো হয়।

অনেকেই হারিয়েছেন জীবনের স্বাভাবিক গতি।

প্রতিবন্ধী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ টিংকু বলেন, আগের মতো কর্মক্ষমতা নেই, শরীরের কষ্ট আমৃত্যু থেকে যাবে। নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। মানসিক সমস্যাটা বেশি, প্রায়ই গভীর রাতে আৎকে উঠি আসলে আমি কি বেঁচে আছি। কিংবা রাস্তা দিয়ে যখন চলাফেরা করি তখন যদি একটা রিক্সার টিউব ফুটে বা কোন আওয়াজ পাই তখন আতঙ্কিত হয়ে যাই।

একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার রায় হয়েছে নিম্ন আদালতে। উচ্চ আদালতে দ্রুতই মামলার শুনানি শুরু হবে।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আইনজীবী এডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, বৈশ্বিক যে মহামারির চলমান অবস্থা থাকায় মহামান্য হাইকোর্টে পেপারবুক তৈরি করা হচ্ছে। বিচারপ্রার্থী মানুষ বিচারে বিলম্ব হচ্ছে বলে মনে করে। অচীরেই এই মামলার শুনানি শুরু হবে। 

এই মামলার পলাতক আসামীদের দেশে ফিরেয়ে আনার তাগিদ দেন এই আইনজীবী।

ভিডিও-

এএইচ/