ঢাকা, শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৬ ১৪৩১

জলবায়ু কার্যক্রমের স্বীকৃতি দিতে ব্রিটিশ কাউন্সিলের আয়োজন

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০৯:২১ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২১ সোমবার

দ্য হাঙ্গার প্রজেক্টের সহযোগিতায় গতকাল ভার্চুয়াল মাধ্যমে ‘চ্যালেঞ্জ গ্রান্ট সার্টিফিকেট প্রেজেন্টেশন এন্ড এসএপি শোকেসিং প্রোগ্রাম’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। ‘ইয়ুথ এনগেজমেন্ট কপ-২৬: চ্যালেঞ্জ ফান্ড ফর ইয়াং পিপল’ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের ৩২ জন সক্রিয় সিটিজেন অ্যালামনাই -এর জলবায়ু কার্যক্রমে কমিউনিটি সংশ্লিষ্ট কাজের স্বীকৃতি প্রদান ও উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়।

এ বছরের নভেম্বরে, ৩০ হাজার প্রতিনিধির অংশগ্রহণে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলন (কপ-২৬) আয়োজন করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। এছাড়াও, পাবলিক এনগেজমেন্ট ক্যাম্পেইন ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী আরও লক্ষাধিক মানুষ এ আয়োজনে যুক্ত হবে। জলবায়ু সংশ্লিষ্ট কাজে সহযোগিতা, সংলাপ এবং শিল্প, শিক্ষা ও ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে নানা পদক্ষেপ গ্রহণে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে দ্য ক্লাইমেট কানেকশন। বৈশ্বিক এ কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিলের বৈশ্বিক নেটওয়ার্কের সুবিধা ব্যবহার করে কপ-২৬ এর লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নে সহায়তা করা। 

ক্লাইমেট কানেকশন প্রোগ্রাম’র লক্ষ্য হচ্ছে, ব্রিটিশ কাউন্সিল রয়েছে এমন ১১০টি দেশের ২৩৩ মিলিয়ন মানুষের কাছে পৌঁছানো। ব্রিটিশ কাউন্সিল কপ-২৬ এর সাফল্য সমর্থনে বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের সাথে কাজ করছে। এটি সামগ্রিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়গুলোকে তুলে ধরতে শিল্প, শিক্ষা ও বিজ্ঞানের মাধ্যমে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে এবং পারস্পরিক সহযোগিতা ও সংলাপের জন্য সহায়ক সুযোগ তৈরি করে দেয়। ‘ইয়ুথ এনগেজমেন্ট কপ-২৬: চ্যালেঞ্জ ফান্ড ফর ইয়াং পিপল’ - একটি উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল কার্যক্রম, যা বিশ্বব্যাপী তরুণ অ্যাকটিভ সিটিজেনদের দলগত শিক্ষা, অ্যাডভোকেসিতে অংশগ্রহণ ও নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য একত্রিত করে। 

বাংলাদেশের অ্যাকটিভ সিটিজেন অ্যালামনাই ‘ইয়ুথ এনগেজমেন্ট কপ-২৬: চ্যালেঞ্জ ফান্ড ফর ইয়াং পিপল’ প্রকল্পের অধীনে জলবায়ু পরিবর্তন-কেন্দ্রিক সামাজিক কর্ম প্রকল্পের মাধ্যমে কপ-২৬ এর সাফল্য ও লিগ্যাসি সমর্থনে ক্লাইমেট কানেকশন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে। বাস্তবায়নকারী অংশীদার হলো দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট। দেশব্যাপী তরুণদের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং কমিউনিটি পর্যায়ে পরিবেশগত ও জলবায়ু পরিবর্তন-কেন্দ্রিক সামাজিক কর্ম প্রকল্পে নিয়োজিত তৃণমূলের ‘অ্যাকটিভ সিটিজেন অ্যালামনাই’দের পদক্ষেপকে সমর্থন করতে ৬৮টি আবেদনের মধ্যে ৩২টিকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এ ৩২টি সামাজিক কর্ম প্রকল্প, নিম্নলিখিত কপ-২৬-এর অগ্রাধিকারমূলক ক্ষেত্রগুলোর ওপর।

বিশেষভাবে আলোকপাত করেছে-
অভিযোজন ও মানিয়ে নেয়া: ‘মানুষ, অর্থনীতি ও পরিবেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলোর জন্য মানিয়ে নিতে ও প্রস্তুত করে তুলতে সহায়তা করা।’ 

প্রকৃতি: ‘বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা, প্রাকৃতিক বাসস্থান রক্ষা ও কার্বনকে বায়ুম-লের বাইরে রাখা।’

কোভিড-১৯ এর ফলে চ্যালেঞ্জিং সময় থাকা সত্ত্বেও, ৩২ জন যুবক তাদের প্রকল্প বাস্তবায়নে গত নয় মাসে কঠোর পরিশ্রম করেছেন এবং নিষ্ঠার সাথে জলবায়ু কার্যক্রম নিয়ে দুর্দান্ত কাজ করেছেন। এর মধ্যে ছয়টি প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের উদ্যোগ কীভাবে কমিউনিটিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে তা দেখানো হয়েছে। 

চ্যালেঞ্জ ফান্ড প্রাপ্তদের একজন আওলাদ হোসেন বলেন, ‘শহর অঞ্চলের পরিবেশের টেকসই ব্যবস্থাপনাই হতে পারে নগর উন্নয়নের অব্যবস্থাপনা ও ব্যক্তিকরণের ধরন ভেঙে যান্ত্রিক শহরকে সবুজ করে জীবনীশক্তি প্রদানের একটি কার্যকরী উপায়।’  আরেকজন কপ-২৬ চ্যালেঞ্জ ফান্ড গ্রহীতা ইনজামুল সাফিন বলেন, ‘বিল্ডিং ফিউচার ক্লাইমেট এক্সপার্টস প্রজেক্ট কাজ করছে উপকূলীয় অঞ্চলের তরুণ প্রজন্মকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আরও দক্ষ করে তোলার জন্য।’

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের দ্য ক্লাইমেট কানেকশন’র প্রোগ্রাম লিড মনোমিতা নাগ-চৌধুরী, দক্ষিণ এশিয়ার ইনক্লুসিভ কমিউনিটিজের পরিচালক শাযিয়া খাওয়ার এবং দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট’র গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. বদিউল আলম মজুমদার।

ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ইনক্লুসিভ কমিউনিটিজ অ্যান্ড আর্টস’র পরিচালক ড. শাহনাজ করিম বলেন, ‘জলবায়ু কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী একটি সামগ্রিক অগ্রাধিকারমূলক বিষয় এবং একইসাথে ব্যক্তিগত পর্যায়ের দায়িত্ব।

দীর্ঘমেয়াদী প্রোমোশন ও অভিযোজন কৌশলগুলোকে সহায়তা করতে আমাদেরকে জ্ঞান ও দক্ষতা সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের গড়ে তুলতে হবে এবং তাদেরকে সকলের প্রতিনিধি হিসেবে, জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ও কমিউনিটিতে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে আমাদের তরুণদেরকে নাগরিক সমাজে ও নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে; পাশাপাশি, গণসচেতনতা তৈরিকে নিজের একান্ত কর্তব্য হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।’

আরকে//