ঢাকা, বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

ভালোবাসার অনন্য নজির, স্ত্রীর চিতায় ঝাঁপ দিলেন স্বামী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:২৩ এএম, ২৬ আগস্ট ২০২১ বৃহস্পতিবার

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

সহমরণের কথা শুনেছেন অনেকেই। সে এক অন্ধকারময় যুগের কথা। স্বামীর মৃত্যুর পর জোর করেই স্ত্রীকে সহমরণে যেতে বাধ্য করা হতো তখন। তবে গত মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) ভারতের ওড়িশার কালাহাণ্ডির ঘটনা কিছুটা সেই সহমরণের ঘটনাকেই মনে করিয়ে দেয়। 

যদিও এক্ষেত্রে ঘটনাটা ঘটেছে ঠিক তার উল্টো। কালাহাণ্ডিতে স্ত্রীর চিতায় ঝাঁপ দিয়েছেন স্বয়ং স্বামী। সেটাও একেবারেই স্ব-ইচ্ছায়। 

আসলে, ভালোবাসার মানুষটাকে একলা ছেড়ে দিতে মন চায়নি একেবারেই। সে কারণেই হয়তো স্ত্রীর সঙ্গেই পরপারে যেতে চেয়েছিলেন স্বামী। আর ভালোবাসার সেই অমোঘ টানের কাহিনীই এখন মুখে মুখে ফিরছে কালাহাণ্ডিতে।

মৃতার নাম রায়বতী সবর। বয়স ৫৭ বছর। ওড়িশার কালাহাণ্ডির গোলামুণ্ডা ব্লকের ওই বাসিন্দা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তবে স্ত্রীর মৃত্যু একেবারেই মেনে নিতে পারেননি স্বামী নীলমনি সবর। ৬০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্য। স্ত্রীকে চিরদিনের মতো হারিয়ে শোকে কাতর স্বামী ঝাঁপ দেন জ্বলন্ত চিতায়। মারাত্মকভাবে অগ্নিদগ্ধও হয়েছেন তিনি। 

কালাহাণ্ডির এসপি বিবেক সারভানা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ওই নারী মারা গিয়েছিলেন। তাঁর স্বামী ও চার সন্তান ও আত্মীয়রা দেহ নিয়ে গ্রামের শ্মশানে গিয়েছিলেন। এরপর শ্মশানের আচার অনুষ্ঠান পালনের পর দেহটি চিতায় তোলা হয়। শ্মশান থেকে সকলে যখন বাড়ি চলে যাচ্ছেন সেই সময় নীলমনি আচমকাই ছুটে গিয়ে চিতায় ঝাঁপ দেন। 

এসপি জানিয়েছেন, আত্মীয়-স্বজনরা তাকে ওই জ্বলন্ত চিতা থেকে নামানোর আগেই তিনি কিছুটা দগ্ধ হয়েছেন এবং চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

এনএস//