ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘বঙ্গ সংস্কৃতির অগ্রদূত’ বঙ্গবন্ধু (ভিডিওসহ)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪৯ এএম, ২৭ আগস্ট ২০২১ শুক্রবার

বঙ্গবন্ধু নিজের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে উপলব্ধি করেছেন, নিজস্ব ভাষা-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের পাশাপাশি রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তি না থাকলে প্রতিষ্ঠা পাবে না জাতি। তাইতো ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জনের সুদীর্ঘ পথে বঙ্গবন্ধু দেখিয়েছেন অপরিসীম সাহস; করেছেন সীমাহীন ত্যাগ। আর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং সঠিক দিকনির্দেশনায় বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে লাল-সবুজের এই ভূখণ্ডের।

বঙ্গবন্ধুর যাপিত-জীবনজুড়ে ছিলো বাঙালির চিরায়ত অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক চেতনা; শৈশব-কৈশোরে আবহমান বাংলার জল-মাটি-মানুষের সম্পৃক্ততায় বঙ্গবন্ধু পেয়েছিলেন স্বদেশিকতার এই দীক্ষা।

বাংলাভাষী জনপদের সাংস্কৃতিক মুক্তির বিষয়টি মাথায় নিয়েই বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করেছিলেন, ভাষা টিকলে- টিকবে জাতি। আর তাই বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু মুক্তির লড়াই- লালসবুজের জন্য সংগ্রাম। 

যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী থাকার সময় বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনের ২১ দফার কাজ এগিয়ে নেন। এসময় ‘বঙ্গ সংস্কৃতির অগ্রদূত’ উপাধিতে ভূষিত হন বঙ্গবন্ধু। আর স্বাধীন বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতির প্রায় সবকিছুই শুরু হয়েছিল জাতির পিতার হাত ধরে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান লিয়ন বলেন, তিনি স্বল্প বয়সেই বুঝতে পেরেছিলেন যে, শিল্প-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক অংশগ্রহণের মাধ্যমেই রাজনৈতিক মুক্তি সম্ভব।

বঙ্গবন্ধু বিপুলভাবে আকৃষ্ট ছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথে এবং গোটা জীবনে বারংবার রবীন্দ্রচেতনায় দ্বারা প্রাণিত তিনি। বঙ্গবন্ধুর ভাষণে-কথনে প্রায়শই উদ্বৃত হতো রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত-জীবনানন্দের পদাবলী। বাংলা ভাষাজ্ঞানে ঋদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বতন্ত্র লেখকসত্ত্বার পরিচয় পাওয়া যায় ‘কারাগারের রোজনামচা’ এবং ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে। 

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠনের সময় বঙ্গবন্ধু দেশের চারু-কারুশিল্পী-সহ সংস্কৃতিজনদের নিয়ে ছিলেন সোচ্চার; দেশীয় চলচ্চিত্রের উন্নয়নে নিয়েছিলেন ভূমিকা।

ভিডিওতে দেখুন-

এনএস//