ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের ১২৭তম জন্মদিন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৪৭ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ রবিবার

বাংলা ভাষা-সাহিত্যকে যারা ঋদ্ধ করেছেন আপন মহিমায়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের অন্যতম। তাঁর রচিত গল্প-উপন্যাস, প্রবন্ধ ও স্মৃতিকথা বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ সম্পদ বলে বিবেচিত। শুধু তাই নয়, বিভূতিভূষণের বেশকিছু উপন্যাসের চলচ্চিত্রায়ণ বাংলা সিনেমাকে দিয়েছে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি ও পরিচিতি। শক্তিমান এই কথাসাহিত্যিকের ১২৭তম জন্মদিন আজ।

বাংলার জল, আলো-হাওয়া, লতা-পাতা-গুল্ম কিংবা পাখির দুরন্ত ছুটে চলাকে যে বালক বিস্ময়ের সাথে উপলব্ধি করেছিলেন শৈশবে, কিশোর বয়েসে যার মন পড়ে থাকতো মানুষের জীবন ও যাপনকে কেন্দ্র করে, তাঁর বোধ ও অনুভূতির সেইসব সুতী পাঠ পরম্পরায় উঠে এসেছে সাহিত্যে- তিনি শক্তিমান কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনায় ১৮৯৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন বিভূতিভূষণ। মেধাবী বিভূতি পড়ালেখার পাঠ শেষ করে যোগ দেন শিক্ষকতায়। ১৯২১ সালে একটি গল্প দিয়ে সাহিত্যিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন বিভূতি। এরপর বাকিটা ইতিহাস। 

১৯২৫ সালে পথের পাঁচালী উপন্যাসই তাঁকে বাংলা সাহিত্যে স্থায়ী ও শক্তিশালি আসনে অধিষ্ঠিত করে। এরপর অপরাজিত, আরণ্যক, মেঘমল্লার, চাঁদের পাহাড়সহ বেশকিছু উপন্যাস রচনা করেন। ২০টি গল্পগ্রন্থ ছাড়াও অসংখ্য ভ্রমণগদ্য ও কিশোর রচনাও রয়েছে তাঁর।

বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায় তাঁর পথের পাঁচালী উপন্যাসকে চলচ্চিত্রে রূপ দেন। পরে তাঁর অশনি সংকেত নিয়েও নির্মিত হয় সিনেমা। 

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদনাও করেছেন। পেয়েছেন অসংখ্য পদক ও সম্মাননা। বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানে তিনি বাংলা ও বাঙালির হৃদয়ে থাকবেন চির জাগরুক। 

এসবি/এনএস//