ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

মরনোত্তর চক্ষুদানে ঘুচতে পারে অন্ধত্ব (ভিডিও)

জসীম জুয়েল

প্রকাশিত : ১২:২১ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার

বিশ্বে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষের সংখ্যা প্রায় ২৯ কোটি। বাংলাদেশে এই সংখ্যা ১৪ লাখ। এদের বেশিরভাগই শুধু কর্নিয়াজনিত কারণেই দৃষ্টিহীন। তবে মৃত্যুর পর চক্ষুদান করলে এদের অনেকেই ফিরে পেতে পারেন চোখের আলো। মরনোত্তর চক্ষুদানে সাধারণ মানুষ উৎসাহিত করা গেলে একটি বড় অংশই অন্ধত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে। এরইমধ্যে মরনোত্তর চক্ষুদানে সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী। 

চোখের আলো নেই, পৃথিবীটা তাদের কাছে নিকষ কালো। বর্ণিল প্রকৃতি, ফুল, আকাশ কিংবা ডানা মেলে পাখির উড়ে যাওয়া- না দেখার ভীষণ বেদনা।

হতভাগ্য মানুষদের জন্য করার কি কিছুই নেই? চিকিৎসাবিজ্ঞানই সে পথ দেখিয়েছে বহু আগেই। মৃত্যুর পর একজনের দান করা চোখেই ঘুচতে পারে অন্ধত্ব। বিশ্বের অনেক নামীদামী ব্যক্তিই মরনোত্তর চোখ দান করেছেন।

অন্ধত্বের অভিশাপ মোচনে চক্ষুদানের মাধ্যমে অন্ধজনের জীবন আলোকিত করতে রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চক্ষু দান করার সম্মতি দিয়েছেন।

বাংলাদেশে অন্ধ মানুষের সংখ্যা ১৪ লাখ। প্রতি বছর নতুন যোগ হচ্ছে আরও প্রায় ৪০ হাজার। এরমধ্যে ৫ লাখ ২৬ হাজার জন শুধুমাত্র কর্নিয়াজনিত কারণে দৃষ্টিহীন। কর্নিয়া একজন অন্ধ ব্যক্তির চোখের আলো ফিরিয়ে দিতে পারে।

যারা মরনোত্তর চোখ দান করেছেন এমন কয়েকজন জানান, একজন মানুষ যদি অন্ধ থাকে তাহলে সে একটা বোঝা হয়ে যায় সমাজের জন্য, তার পরিবারের জন্য। চক্ষুদানের মাধ্যমে যদি একটা বোঝা কমাতে পারি- এই উপলব্ধি থেকে আমি চক্ষুদান করছি। অন্য আরেকজন বলেন, আমি আমার চোখ দিয়ে যদি আরেকজন দৃষ্টিহীন মানুষকে উপকার করতে পারি, পৃথিবীর আলো দেখাতে পারি, তার আপনজনকে দেখতে, স্রোষ্টার সৃষ্টিকে সে দেখতে পারে- আমি মনে করি, মরে গেলেও বেঁচে আছি আরেকজনের চোখের মাধ্যমে।

রোটারী ক্লাবের সভাপতি জানালেন, কর্নিয়াজনিত অন্ধত্ব দূর করতে প্রতি বছর ৩৬ হাজার কার্নিয়া সংগ্রহ করা প্রয়োজন। মৃত মানুষের ২ শতাংশ কর্নিয়া সংগ্রহ করা গেলেই অন্ধত্ব দূর করা সম্ভব।

রোটারী ক্লাব অব ঢাকা সেন্ট্রালের চেয়ারম্যান শওকাত হোসাইন বলেন, মানুষ এখনও সচেতন না, মানুষ মোটিভেটেড না। আর কিছু ধর্মান্ধ পশ্চাৎপদতা আছে যদিও আইনগতভাবে এটার কোন সমস্যা নেই। একটা উৎসবের আয়োজন করবো যাতে তারা হেঁসে-খেলে দান করতে আসেন।

বাংলাদেশে চক্ষু গ্রহণ এবং বিতরণের অনুমোদন আছে শুধুমাত্র সন্ধানী চক্ষুদান সমিতির।

ভিডিও-

এএইচ/