ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

ক্ষতির মুখে ওজোন স্তর, পৃথিবী বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা (ভিডিও)

স্মৃতি মণ্ডল

প্রকাশিত : ১২:১৯ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার

মনুষ্যসৃষ্ট নানা কারণে ক্ষতির মুখে ওজোন স্তর। এর ফলে পৃথিবী বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও করোনাকালে ওজোন স্তরের ছিদ্রের খানিকটা মেরামত হয়েছে বলে মনে করছেন পরিবেশবিজ্ঞানীরা। তবে ওজোন স্তর রক্ষায় মন্ট্রিয়ল চুক্তি বাস্তবায়নে উন্নত দেশসহ সব দেশকেই ক্লোরোফ্লোরো কার্বন বা সিএফসি ব্যবহার বন্ধের তাগিদ পরিবেশবিজ্ঞানীদের। 

ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি যাতে পৃথিবীর মাটিতে পৌঁছাতে না পারে সেজন্য ঢাল হয়ে বায়ুমণ্ডলের ওপরের দিকে অবস্থান করছে ওজোন স্তর।

ওজোন স্তর না থাকলে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি সরাসরি পৃথিবীতে পৌঁছে প্রাণী জগত এমনকি উদ্ভিদের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতো। ত্বকের ক্যান্সার থেকে শুরু করে চোখেরও ক্ষতি হতে পারে। বিপন্ন হতে পারে পরিবেশের ভারসাম্য।

পরিবেশ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. আব্দুর রব বলেন, ইউমিনিটি ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে এবং ডিএনএ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এটা শুধু মানুষের নয় উদ্ভিদেরও খুব ক্ষতি করে। ওজন স্তরের এফেক্ট সারাবিশ্বে পড়বে।

শিল্পায়নের যুগে নানা ধরণের রাসায়নিকের ব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে এই ওজোন স্তর। আশির দশকে বিজ্ঞানীদের চোধে ধরা পড়ে দক্ষিণ মেরুর উপরে ওজোন স্তরের ছিদ্র। এরপরেই ১৯৮৭ সালে গোটা বিশ্ব মন্ট্রিয়ল চুক্তি সই করে। ক্লোরোফ্লোরো কার্বন বা সিএফসি ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়।

প্রফেসর ড. আব্দুর রব আরও বলেন, ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন, আরবানাইজেশন, মর্ডানারাইজেশনে যারা এগিয়ে আছে এবং যারা বেশি ভোগবাদী তাদেরকে বিষয়টি বুঝতে হবে। কারণ পৃথিবীর কোন এক জায়গায় যদি কোনরকম দূষণ হয় তা সারা পৃথিবীকেই এফেক্ট করে। গ্লোবাল ওয়ামিং হলে শুধু যে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে তাই নয়, এটা উন্নত-অনুন্নত সব দেশেরই ক্ষতি করে। সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

তবে করোনা মহামারীকালে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে ওজোন স্তরে।

পরিবেশ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. আব্দুর রব বলেন, করোনাকালে গাড়িঘোড়া কম চলেছে, ইন্ডাস্ট্রিগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তার ফলশ্রুতিতে পলিউশন অনেক কমে গেছে। 

ওজোন স্তর ক্ষয় হলে গোটা পৃথিবীই বিপন্ন হবে। তাই কার্বণ নিঃসরণ কমিয়ে বিকল্প জ্বালানি ব্যবহারের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।

ভিডিও-

এএইচ/