ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

তাইওয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে চীনের সামরিক মহড়া

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:৫৫ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

তাইওয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে গত শুক্রবার সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন। গত শনিবার এমন দাবি করেছে অঞ্চলটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণলায়। মন্ত্রণালয়ের দাবি, এই মহড়া চালাতে গিয়ে চীন তাদের সার্বভৌমত্বে আঘাত হেনেছে। এক প্রতিবেদনে এই খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএনআই।

তবে মহড়ার নেতৃত্ব দেওয়া চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের দাবি, গত শনিবার অঞ্চলটির দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে তারা সামরিক মহড়া চালালেও তাতে আকাশ বা নৌ সীমা লঙ্ঘন করা হয়নি। উল্লেখ্য, মার্কিন যুদ্ধজাহাজ আরলেঘ বার্কের তাইওয়ানে ট্রানজিট নেওয়া এবং তাইওয়ান তার বার্ষিক হান কুয়াং সামরিক মহড়া সমাপ্তের পরপরই এমন সামরিক মহড়া চালালো বেইজিং। 

তাইওয়ান দাবি করেছে চীনা সামরিক বিমানের একটি বড় বহর তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা সীমানায় প্রবেশ করেছে। আর তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধবিমান এবং পরমাণু বোমা বহনে সক্ষমসহ মোট ১৯টি চীনা বিমান ওই এলাকায় প্রবেশ করে।

প্রসঙ্গত, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাইওয়ান চীনের বিরুদ্ধে আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনছে। গণতান্ত্রিক তাইওয়ানকে নিজেদের প্রদেশ বলে বিবেচনা করে চীন। তবে তাইওয়ান নিজেকে সার্বভৌম দেশ বিবেচনা করে।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, চীনের মহড়ায় চারটি এইচ-৬ বোম্বার অংশ নেয়। এগুলো পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম। এছাড়া এগুলো সাবমেরিন বিরোধী আকাশযান হিসেবেও ব্যবহৃত হতে পারে।

তাইওয়ান বলেছে, চীনা বিমান হটাতে তারা সাথে সাথে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা প্রস্তুত করেছিল এবং সেই সাথে পাল্টা যুদ্ধবিমানও পাঠিয়েছিল। তবে চীনের কাছ থেকে এ পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে এখনও এ নিয়ে কিছু শোনা যায়নি।

প্রসঙ্গত, অঞ্চলটিতে চীনের নীতি খুব স্পষ্ট যে, তাইওয়ান তাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং অঞ্চলটির কোন সরকার যদি কখনও স্বাধীনতা ঘোষণা করে বা চীন যদি সেখানে বিদেশী কোন শক্তির সামরিক উপস্থিতি দেখে, তাহলে তারা সামরিক অভিযান চালাবে। এ নিয়ে চীনে একটি আইন করা হয়েছে। এটি এখন চীনা সংবিধানের অংশ। সূত্র- এএনআই।

এসি