ঢাকা, শনিবার   ১২ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২৬ ১৪৩১

পিতার রাজনৈতিক দর্শনের প্রতিফলন বঙ্গবন্ধুকন্যার রাষ্ট্র পরিচালনায় (ভিডিওসহ)

আকবর হোসেন সুমন

প্রকাশিত : ১১:৫৬ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ বুধবার | আপডেট: ১১:৫৭ এএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ রবিবার

বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫৫ বছর জীবনের ৩৬ বছর কেটেছে রাজনীতিতে; ১২ বছরের বেশি সময় কারাগারে। যার অবিসংবাদিত নেতৃত্বেই দেশ স্বাধীন হলো অথচ স্বপ্নপূরণের আগেই তাকে ঘাতকের বুলেটে সপরিবারে বিদায় নিতে হয়। এমনি ঘোর অন্ধকার পেরিয়ে ১৯৮১ সালে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে শুরু করেন বাঙালির অধিকার আদায়ের আন্দোলন। আর তার রাষ্ট্র পরিচালনায় বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনেরই প্রতিফলন। টানা তিন মেয়াদের চলমান পথচলায় সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে পাশে পেয়েছেন দেশের মুক্তিকামী জনগণকে।

১৯৮১ সাল। দিনটা ১৭ মে। একপ্রকার ফেরারী জীবন নিয়ে স্বজনহারার যন্ত্রণা বুকে চেপে নিষ্পেষিত মানুষের হাহাকারে কণ্ঠ মিলিয়ে একজন সর্বহারা শেখ হাসিনা পা রাখেন পিতার গড়া স্বাধীন বাংলাদেশে।

৭৫-এর নৃশংসতায় আতংকিত ক্ষুব্ধ জনতার কাছে পিতৃহত্যার বিচার চাইতে এসে কন্যা শেখ হাসিনা হয়ে ওঠেন জনমানুষের আপন। জনগণের ভালোবাসা পুঁজি করেই রাজনৈতিক অঙ্গনে স্থান করে নেন ‘জননেত্রী’।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতির মূল কেন্দ্র জনগণ। ব্রিটিশ শাসন থেকে পাকিস্তান শোষণে নিঃস্ব বাঙালির ক্ষুধা ও দারিদ্র দূর করে সুখী সমৃদ্ধ স্বাধীন ভূখণ্ড সৃষ্টিই ছিলো যার দর্শন। আদর্শ নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্য সফল হয়নি, তবে পঁচাত্তরে ঘাতকের বুলেটের আঘাতে বঙ্গবন্ধুর সেই দর্শন মুখ থুবড়ে পড়েছিলো প্রায় দেড় যুগের জন্য।

পিতা যেমন ধ্বংসস্তূপ থেকে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়েছিলেন মাত্র সাড়ে ৩ বছরে, কন্যা শেখ হাসিনা তেমনই স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে প্রতিষ্ঠা করেন ভোট ও ভাতের অধিকার। ৯৬ সালে দীর্ঘ ২১ বছর পর জনতার রায় নিয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। ৮১ থেকেই এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় শেখ হাসিনা শিকার হয়েছেন নানা ষড়যন্ত্রের। চোখের সামনে মৃত্যুর স্বরূপ তাকে করে তুলেছে আরও সাহসি, আরও দৃঢ়।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে যখন উনি সফরে বের হয়েছেন জনগণের কাছে হত্যার বিচার চেয়েছেন। উনি যাতে ভয়ে পেয়ে এই দেশে রাজনীতি বন্ধ করে দেন- নানাভাবে এই চেষ্টা তারা করেছে কিন্তু সফল হয়নি। তিনি বিমানবন্দরে নেমে বলেছিলেন, আমি হত্যার বিচার চাই, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চাই- সেটি তিনি করছেন।’

বিএনপি-জামায়াত জোট শাসন কিংবা সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে ধরতে চেয়েছে, নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও তাঁর রক্তের উত্তরসূরীদের। রাজনীতি থেকে মাইনাস ফর্মুলার প্রবর্তন করে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছে অন্তত ১৯ থেকে ২১ বার। 

শত্রুর মুখে ছাঁই দিয়ে ২০০৮ সাল থেকে টানা ৩ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার পরিচালনা করছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনী ইশতেহারে বাস্তবায়ন করে চলেছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ছায়ারূপ। 

মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘ভোট এবং ভাতের অধিকার- এই প্রতিশ্রুতি তিনি রক্ষা করেছেন। চড়াই-উৎরাই থাকবে কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে তার এই অভিযাত্রায় আমরা সমর্থন জোগাবো, সাহস জোগাবো।’

বিশ্ব পরিমণ্ডলে শেখ হাসিনা আজ গণতন্ত্র, উন্নয়ন, ন্যায়বিচার ও শান্তির প্রতীক হয়ে উঠেছেন। পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে বৈষম্যহীন এবং সকলের অংশগ্রহণমূলক ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গঠনের কাজ করে যাচ্ছেন নিরলস। 

ভিডিও-

এএইচ/