ঢাকা, সোমবার   ০৬ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

মার্সেল মার্সো’র প্রয়াণ দিবসে অন্তর্জাল মুক্তালোচনা অনুষ্ঠিত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১৬ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার

মস্টার অব মাইম মার্সেল মার্সো’র প্রয়াণ দিবসে অন্তর্জাল মুক্তালোচনা সম্পন্ন হয়েছে। ২২ সেপ্টেম্বর ছিল বিশ্ব মূকাভিনয়ের অপার বিস্ময় মার্সেল মার্সো’র প্রয়াণ দিবস।

দিনটিকে স্মরণে বাংলাদেশ পথমূকাভিন পরিষদ বিশেষ এ আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন বিশ্ব মূকাভিনয়ের জ্যেষ্ঠ মূকাভিনেতা, ভারতীয় মূকাভিনয়ের দিকপাল পদ্মশ্রী নিরঞ্জন গোস্বামী। এতে আরও অংশ নেন- নাট্য সংগঠন স্বপ্নদলের প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশ মূকাভিনয় ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি জাহিদ রিপন। বাংলাদেশ পথমূকাভিনয় পরিষদের আহ্বায়ক রিজোয়ান রাজনের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন সংগঠনের সদস্য সচিব সোহাগ আশরাফ।

উল্লেখ্য, ২২ সেপ্টেম্বর ছিল মার্সেল মার্সোর মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৭ সালের ওই দিনে ৮৪ বছর বয়সে তাঁর জীবনাবসান ঘটে।

বিশ্বখ্যাত এই শিল্পী ১৯২৩ সালের ২২ মার্চ ফ্রান্সের স্টার্সবুর্গ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রয়াণের পরে জন্মদিনটিকে ‘বিশ্ব মূকাভিনয় দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।

মার্সেল মার্সো একজন ফরাসি অভিনেতা ও মূকাভিনেতা ছিলেন। তিনি তার মঞ্চ ব্যক্তিত্ব ‘বিপ দ্য ক্লাউন’ চরিত্রের জন্য সর্বাধিক খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি ৬০ বছরের অধিক সময় বিশ্বব্যাপী পেশাদার মূকাভিনয় পরিবেশন করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে তিনি ফরাসি রেজিস্টেন্সে কর্মরত ছিলেন এবং ১৯৪৪ সালের আগস্ট মাসে প্যারিসের স্বাধীনতার পর ৩০০০ সৈন্যের সামনে বিশাল পরিসরে তার প্রথম পরিবেশনা উপস্থাপন করেন। যুদ্ধের পর তিনি প্যারিসে নাট্যকলা ও মূকাভিনয় নিয়ে পড়াশোনা করেন।

১৯৫৯ সালে তিনি প্যারিসে নিজের পান্তোমিম স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন এবং এই শিল্পকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রচারের জন্য মার্সো ফাউন্ডেশন গঠন করেন।

তার প্রাপ্ত বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননার মধ্যে রয়েছে ১৯৯৮ সালে লেজিওঁ দনরের গ্র্যান্ড অফিসার এবং ১৯৯৮ সালে ন্যাশনাল অর্ডার অব মেরিট। তিনি তার টেলিভিশন কর্মের জন্য একটি এমি পুরস্কার অর্জন করেন।

তিনি বার্লিনের একাডেমি অব ফাইন আর্টসের একজন নির্বাচিত সদস্য এবং জাপানে ‘জাতীয় সম্পদ’ হিসেবে ঘোষিত। তিনি প্রায় ২০ বছর মাইকেল জ্যাকসনের বন্ধু ছিলেন এবং জ্যাকসন বলেছিলেন, তিনি নিজেও মার্সোর কিছু কৌশল তার নাচে ব্যবহার করতেন।
এসএ/