ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

বিলুপ্ত কাকিলা মাছের কৃত্রিম প্রজননে সফলতা

যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০১:১৭ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার

দেশে প্রথমবারের মতো বিলুপ্তপ্রায় কাকিলা মাছের কৃত্রিম প্রজননের কলাকৌশল উদ্ভাবন করেছেন যশোরের মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্বাদুপানি উপকেন্দ্রের গবেষকরা। এই মাছের চাষ হবে পুকুর বা বদ্ধ জলাশয়ে। তবে কাকিলার চাষ বিস্তারে আরও গবেষণার প্রয়োজন।

স্বাদুপানির অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয় বিশেষ করে নদী-নালা, হাওর-বাওড়, খাল-বিলে পাওয়া মাছের অন্যতম কাকিলা। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, প্রাকৃতিক বিপর্যয়সহ নানা কারণে বিলুপ্ত হতে চলছিল এ মাছ।

২০১৮ সাল থেকে শুরু হয় কাকিলা মাছের কৃত্রিম প্রজননের গবেষণা। পদ্মা নদী থেকে মাছ সংগ্রহের পর বিশেষ পদ্ধতিতে অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করে স্বাদুপানি উপকেন্দ্রের পুকুরে ছাড়া হয়। 

চলতি বছর মে মাস থেকে বৈজ্ঞানিক প্রটোকল অনুসরণ করে উপকেন্দ্রের হ্যাচারীতে নির্দিষ্ট সংখ্যক মাছকে বিভিন্ন ডোজে হরমোন প্রয়োগ করা হয়। কয়েক দফা ট্রায়ালের পর অবশেষে কাকিলার কৃত্রিম প্রজননে সফলতা আসে।

যশোর স্বাদুপানি উপকেন্দ্রের গবেষক মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে প্রথমে ছাড়ার পরে এরা কি ধরনের খাবার খায়, কি ধরনের পরিবেশ পছন্দ করে সেগুলো আমরা দেওয়ার চেষ্টা করি।’

গবেষক শিশির কুমার দে জানান, ‘প্রণীত প্রজনন পদ্ধতির মাধ্যমে ইঞ্জেকশন দেই এবং আমরা পর্যবেক্ষণ করতে থাকি। এখানে পপুলেশনের পরে হ্যাচিং হয়।’

চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় এই মাছ চাষ করতে আগ্রহী মৎস্য চাষীরাও।

মৎস্যচাষীরা জানান, কাকিলা মাছ আগে খাল-বিলে অনেক পাওয়া যেতো এখন পাওয়া যাচ্ছে না। এর রেণু আমাদের দিলে পুকুরে চাষ করতে উৎসাহিত হবো।

তবে, এটিকে চাষ পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে আরও গবেষণা প্রয়োজন- এমনটা বলছেন উপকেন্দ্রের গবেষক দলের প্রধান।

গবেষক দলের প্রধান ড. মো. রবিউল আউয়াল হোসেন বলেন, সরকারি-বেসরকারি যে কমিটি আছে তাদের কাছে প্রযুক্তি হস্তান্তরের পর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চাষী পর্যায়ে দেওয়া হবে।

বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির কৃত্রিম প্রজননের তালিকায় ৩১তম মাছ হিসেবে নাম ওঠালো কাকিলা।

ভিডিও-

এএইচ/