ঢাকা, শনিবার   ০৪ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২১ ১৪৩১

শোষিত মানুষের কণ্ঠস্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আকবর হোসেন সুমন

প্রকাশিত : ১১:৫৫ এএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ রবিবার

বিশ্বব্যাপী শোষিত মানুষের কণ্ঠস্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় কিংবা গণহত্যা বছরজুড়েই প্রতিবাদী বঙ্গবন্ধু কন্যা। পেয়েছেন মাদার অফ হিউম্যানিটি পুরস্কার।

২০১৭ সালে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ঠিকানা ছিল বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। স্রোতের মতো আসা শরণার্থীর ঢেউ গিয়ে থামলো উখিয়া শিবিরে। পরম মমতায় আশ্রয় দিলেন শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে আসা ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গার ভরণপোষণে ব্যয় হয় ৬০ কোটি ডলার বা ৫ হাজার কোটি টাকা। 

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনেতাদের বুঝিয়ে দেন মানবিক দায়িত্ব কতোটা মহান কতে পারে।  

ইতোমধ্যে ভাষানচরে আবাসন করতে ব্যয় হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক উদ্যোগে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব। পেয়েছেন ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ পুরস্কার। 

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘এদেশে ক্রাইসিস বিভিন্ন সরকারপ্রধানের সময়ে হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা যেভাবে এক রোহিঙ্গা শিশুকে জড়িয়ে ধরেছেন, এভাবে কোন দেশের সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে কোন ছবি পাওয়া যাবে না। এখানে তিনি আনপ্যারালাল।’

ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, রাষ্ট্রীয় সংকট মোকাবেলায়, অভ্যন্তরীণ হুমকি মোকাবেলায় তিনি যা করেছেন বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের এখন আশ্রয় দিয়ে রেখেছেন। সেগুলো তুলনাহীন।

গ্রামের মানুষের দারিদ্রতা ঘোচাতে সামাজিক নিরাপত্তায় গুরুত্ব দিয়েছেন শেখ হাসিনা। 

বঙ্গবন্ধুর মতোই সংকটে সুনিপূণ এবং সময়োপযোগী শেখ হাসিনাতে বিশ্বাস তাই বিশ্ববাসীর। 

অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, মুজিববর্ষের তার সবচেয়ে বড় উপহার আশ্রয়ণ। পৃথিবীতে কোন রাষ্ট্রনায়ক এই ধরনের প্রকল্প করেছেন কিনা আমার জানা নেই। সমাজতান্ত্রিক দেশের কথাটা ভিন্ন।

১৯৭২ এ জাতির পিতা যেমন ভূমিহীনদের ঘর দিয়েছিলেন ঠিক তেমনি ঘরহীন মানুষের স্বপ্ন-ঠিকানার নাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ভিডিও-

এএইচ/