ঢাকা, শুক্রবার   ১০ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৭ ১৪৩১

ডায়াবেটিস-ব্লাড প্রেশারের শেষ পরিণতি হৃদরোগ!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৯ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার

বছরে অসংক্রামক রোগে মারা যায় ১ লাখের মতো মানুষ। এর ৪১ শতাংশের মৃত্যু হয় হৃদরোগে। ভয়াবহ এ অবস্থা থেকে রেহাই পেতে হৃদরোগীদের স্বাস্থ্য বিমার সুপারিশ দিয়েছে হার্ট ফাউন্ডেশন।

বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে অসংক্রামক ব্যাধি। মাইগ্রেন, ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেশারসহ আরও কিছু রোগের শেষ পরিণতি হৃদরোগ। 

করোনায় মানসিক চাপ বেড়েছে বহু মানুষের। জীবনযাপনের ধরণ পাল্টানো এসব মানুষের ৪৬ শতাংশ সহসা আক্রান্ত হতে পারেন হৃদরোগে।

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এম জি আজম জানান, ক্যারিয়ার গড়ার চাপ নিতে গিয়েও আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। অনেকে আবার করোনাকালে শিক্ষাজীবনের অনিশ্চয়তা নিয়ে দু:শ্চিন্তা করছেন, এতেও ঝুঁকি বাড়ছে। 

রোগী যে হারে বাড়ছে সেই তুলনায় নেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। যে কারণে শহরের পাশাপাশি হৃদরোগে মৃত্যুর ঝুঁকি এখন গ্রামের দিকেও। 

হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন বলেন, যেখানে রোগীর অনুপাতে চিকিৎসক কম সেখানে সেবা কিছুটা ব্যহত হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে হৃদরোগের অত্যাধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা এখন বাংলাদেশেও রয়েছে। 

হৃদরোগের চিকিৎসা এখনো বেশ ব্যয়বহুল। যে কারণে অসচ্ছলদের একটি অংশ নিভৃতে মৃত্যুকে বেছে নেয়। অনেক পরিবার হয় নি:স্ব। কেউবা হাত পাতেন অন্যের কাছে। দুর্বিষহ অবস্থা থেকে উত্তোরণের সুপারিশ বিশেষজ্ঞদের।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল মালিক জানান, এজন্য স্বাস্থ্য বীমা একটি ভালো উপায় হতে পারে। 
হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে বছরে অন্তত একবার হলেও চেক আপ করানোর পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। 

এসবি/