ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

সামুদ্রিক পাখি খেয়ে ফেলছে ‘বিছা’!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৩৮ এএম, ৭ অক্টোবর ২০২১ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:৪১ এএম, ৭ অক্টোবর ২০২১ বৃহস্পতিবার

অসংখ্য 'পেট্রেল' পাখির ঠিকানা দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ফিলিপ দ্বীপ। কিন্তু এই দ্বীপে দিন দিন কমে যাচ্ছিল সামুদ্রিক এই পাখিগুলো। খোঁজ নিয়ে পাওয়া  যায় এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পাখির সংখ্যা কমে যাওয়ার জন্য দায়ী সেখানেই বসবাসকারী 'কর্মোসিফেলাস কয়েনেই' নামের একধরণের ভয়ংকর বিছা পোকা।

অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্স এর গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রতি বছর প্রায় তিন হাজার ৭০০ 'পেট্রেল'  পাখি খেয়ে ফেলছে এই বিছাগুলো। 

প্রথমে এরা শিকারকে ভয়ানক বিষের মাধ্যমে নিস্তেজ করে দিয়ে তার পর সেটিকে খায়।

গবেষকরা দাবি করেন, এই বিছাগুলোকে মূলত 'পেট্রেল' পাখির বাসার কাছেই দেখেছেন তারা। পাখির বাচ্চাদের গায়ে যে আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন, তা শিকারী বিছার আঘাত বলেই ধারণা করছেন তারা।  

'পেট্রেল' পাখির একটি বাচ্চার উপর বিছার হামলা চালানো এবং সেটাকে খেয়ে নেওয়ার ঘটনা নিজ চোখে দেখেছেন বলেও দাবি করেন গবেষকরা। 

তারা জানান, ফিলিপ দ্বীপের ওই বিছার বিজ্ঞানসম্মত নাম 'কর্মোসিফেলাস কয়েনেই'। এক একটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার বা ১২ ইঞ্চির মত। 

বিশালাকৃতির এই বিছাগুলো ফিলিপ দ্বীপ থেকে একসময়  প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছিল। সে সময় দ্বীপে বসতি গড়ে 'পেট্রেল' পাখি। কিন্তু পেট্রেলের সংখ্যা হঠাৎ কমছে এমনটা প্রকাশ্যে এলে এর কারণ জানতে গবেষণা শুরু হয়। এতেই প্রকাশ্যে আসে বিছার পাখি শিকারের ঘটনা।

গবেষকরা জানান, এই বিছার খাদ্যতালিকায় রয়েছে ৪৮ শতাংশ মেরুদণ্ডী প্রাণী, ৫২ শতাংশ অমেরুদণ্ডী প্রাণী, ৭ দশমিক নয় শতাংশ পেট্রেল পাখির বাচ্চা। এছাড়া সাপ, সামুদ্রিক মাছ এবং সামুদ্রিক পাখির বিষ্ঠাও এদের খাবার। 

আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন

এমএম//এসবি