ঢাকা, রবিবার   ০৫ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২১ ১৪৩১

অপরাধ জগতের লেনদেনে ব্যবহার হয় সোনার বার

আহম্মদ বাবু

প্রকাশিত : ১১:৩৩ এএম, ২০ অক্টোবর ২০২১ বুধবার | আপডেট: ১২:১৪ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০২১ বুধবার

অস্ত্র আর মাদকের দাম পরিশোধে বিনিময় হয় সোনার বিস্কুট। ২০১৮ সালে সোনা আমদানি নীতিমালা হলেও বন্ধ হয়নি চোরাচালান। ভ্যাট ও এআইটি বাতিল না করলে সোনা আমদানি বাড়বে না বলে জানান ব্যবসায়ীরা। 

গেল সাড়ে চার বছরে শুধু কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর অবৈধভাবে দেশে আনা সোনা আটক করেছে ৭৫০ কেজির মতো। প্রায় একই সময়ে সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান জব্দ করেছে বিপুল পরিমাণ সোনার বার।

আটককৃত সোনার ব্যাপারে মামলা হলেও অবৈধভাবে আসায় তা বৈধ হওয়ার সম্ভবনা থাকে না। দেশ-বিদেশে অবস্থানরত অপরাধ জগতের সদস্যরা লেনদেন মিটাতে সোনার বার ব্যবহার করে থাকে।

কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর মো. আব্দুর রউফ বলেন, “অস্ত্র চোরাচালান এবং ড্রাগ চোরাচালান- এসব কাজে স্বর্ণ মূল্য হিসেবে দেওয়া হয়। এছাড়া বড় বড় অপরাধের পেমেন্ট এই স্বর্ণের মাধ্যমে হয়। এগুলো সবই অবৈধ কর্মকাণ্ড।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বছরে ১৫ থেকে ২০ টন সোনার চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশে। এর বেশির ভাগই চোরাচালান থেকে পূরণ হচ্ছে।

বাজুস সভাপতি এনামুল হক খান বলেন, “পিয়র গোল্ড আনলে এখানে ভ্যাট-টিআইটি-ট্যাক্স সবকিছু দিয়ে ভরিতে পরে ৬ হাজার টাকা। আর যদি ব্যাগেজ রোলে আনেন তাহলে দিতে হয় ২ হাজার টাকা। এইসব বৈষম্য দূর করতে না পারলে আমদানির গোল্ড এখানে কোনদিন জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারবে না।” 

ব্যাগেজ রোলের মাধ্যমে যে পরিমাণ সোনা দেশে আসছে তা বৈধ না অবৈধ পথে ব্যবহার হচ্ছে সেটা কেউ জানে না।

এনামুল হক খান আরও বলেন, গোল্ড আমদানির সমস্ত জটিলতা দূর করে এটাকে আলোর মুখ দেখাতে হবে।

নীতমালা হওয়ার পর এ যাবত দুজন ব্যবসায়ী সোনা আমদানি করেছে, জানান ব্যবসায়ী নেতা।

বাজুস সভাপতি বলেন, “স্বর্ণ নীতিমালাকে লালন-পালন করার জন্য যেসব সংস্থা আছে তারা এটাতে হাত দিতে ইন্টাররেস্ট নয়।”

ভিডিও-

এএইচ/