ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

‘সংখ্যালঘুদেরকে আমানত হিসেবে গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন মহানবী’

জসিম জুয়েল

প্রকাশিত : ০১:৫৫ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০২১ বুধবার | আপডেট: ০১:৫৮ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০২১ বুধবার

অনন্য মানবীয় গুণের অধিকারী এক আদর্শ মানুষ হযরত মুহম্মদ (সা.)। সর্বদা ইসলাম প্রচারে নিয়োজিত থাকলেও অন্যদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় কখনো আঘাত করেননি তিনি। সমাজে সত্য, ন্যায় ও সাম্য প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বিশ্বমানবতার মুক্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠাই ছিলো মহানবীর ব্রত।

হযরত মুহাম্মদ (সা.) পবিত্র মক্কায় ১২ রবিউল আউয়াল জন্মগ্রহণ করেন। দিনটি তাঁর ওফাত দিবসও।  সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর জন্ম দিনটিকে মুসলিম উম্মাহ ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের জেষ্ঠ্য ইমাম বলেন, নবী করিম (সা.) শিক্ষা দিয়েছেন ভ্রাতৃত্ববোধের, সবাই মিলেমিশে জীবপযাপন করার। যারা ধর্মের নামে অন্যের ওপর জুলুম চালায় তারা ইসলামের শক্র।

খতিব ড. সৈয়দ মুহাম্মদ এমদাদ উদ্দিন বলেন, “কোনো অবস্থাতেই কোন নির্দোষ নিরাপরাধ ব্যক্তিকে নির্যাতন-জুলুম করা ইসলাম মোটেই সমর্থন করে না। বরং যে নির্দোষ ব্যক্তির উপর অত্যাচার-নির্যাতন করবে সে নিজে মহা অপরাধে অপরাধী হবে, সে পাপী হবে।”
 
এই ইসলামী চিন্তাবিদ বলেন, মহানবীকে যারা ভালোবাসেন, তাঁর আদর্শকে অন্তরে লালন করেন, তারা কখনই সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টায় লিপ্ত হতে পারেন না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিয় মসজিদের খতিব বলেন, “রাসূলে করীম (সা.) সংখ্যালঘুদেরকে আমানতে হিসেবে গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। একটা সুস্পষ্ট হাদিস শরীফ বলেছে, যদি কেউ কোন বিধর্মীকে হত্যা করে সেই ব্যক্তি বেহেশতের খুশবুও পাবে না।”

হযরত মুহাম্মদ (সা.) সবসময় অন্য ধর্মের মানুষদের সম্মান এবং শ্রদ্ধা করতেন। আর বিশ্বাস করতেন শান্তি।

ভিডিও-

এএইচ/