ঢাকা, বুধবার   ১৫ মে ২০২৪,   চৈত্র ৩১ ১৪৩১

বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু অন্তত পাঁচ হাজার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৬ এএম, ২২ অক্টোবর ২০২১ শুক্রবার | আপডেট: ১০:০৭ এএম, ২২ অক্টোবর ২০২১ শুক্রবার

প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন ৫ হাজারের বেশি মানুষ। আহত ও পঙ্গুত্বের সংখ্যা আরো বেশি। দুর্ঘটনা রোধে আইন থাকলেও নেই যথাযথ বাস্তবায়ন। এমন প্রেক্ষাপটের মধ্য দিয়ে আজ পালিত হচ্ছে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস। 

প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় অনেক মানুষ অকালে প্রাণ হারান। অহতের পাশাপাশি অঙ্গহানির সংখ্যাও অনেক বেশি।

সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং এর অভাব, টাস্কফোর্সের ১শ ১১টি সুপারিশ বাস্তবায়ন না করা, বেপরোয়া গাড়ী চালানো, লাইসেন্স না থাকা, চুক্তিভিত্তিক চালক নিয়োগ, পথচারিদের সচেতনতার অভাব, সড়কে যান্ত্রিক-অযান্ত্রিক যান একসাথে চলা, রাস্তার পাশে অবৈধ স্থাপনা। 

যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য মতে, গত পাঁচ বছরে ২৬ হাজার ৯০২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩৭ হাজার ১৭০ জন নিহত হয়েছেন ও আহত হয়েছেন ৮২ হাজার ৭৫৮ জন। 

এর মধ্যে ২০১৫ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি, ৮ হাজার ৬৪২ জন মানুষের মৃত্যু হয়। ২০২০ সালে যা কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৬৯ জনে। তবে এটিও খুব একটা কম নয়। 

সড়কে শিক্ষার্থীর প্রাণ যাওয়ায় গত কয়েক বছরে দুর্ঘটনা রোধে কয়েকবার দেশ জুড়ে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এখনো তাদের দাবী বাস্তবায়ন হয়নি। 

চালকরা স্বীকার করেন, তাদের সচেতনার অভাবে ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। তবে যাত্রীদের সচেতনতার অভাবও রয়েছে বলে জানান তারা।  

দেশে তিনদশকের কাছাকাছি সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কাজ করছে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দলোন।

সংগঠনটির প্রধান, ইলিয়াস কাঞ্চন বলছেন, "নীতি নির্ধারকদের সহযোগিতা না থাকায় দুর্ঘটনা কমানো যাচ্ছে না।"

শুধু চালকের কারণেই দুর্ঘটনা হয় এমটা নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

বলেন, "ক্রটিপূর্ণ সড়ক তৈরি এবং অব্যবস্থাপনাও দুর্ঘটনার কারণ। এসবের সঙ্গে জড়িতদেেও শাস্তির আওতায় আনতে হবে।" 

তার মতে আইনের কঠোর প্রয়োগই পারে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে পারে। 

এসবি/