ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

ইউটিউব দেখে সন্তান জন্ম দিল কিশোরী, অতঃপর...

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৫৭ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০২১ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৫:৫৯ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০২১ বৃহস্পতিবার

ইউটিউব দেখেই সন্তানের জন্ম দিল এক কিশোরী

ইউটিউব দেখেই সন্তানের জন্ম দিল এক কিশোরী

একাকী ঘরে বসে ইউটিউব দেখেই সন্তানের জন্ম দিল ১৭ বছরের এক কিশোরী। ঘুণাক্ষরেও তা টের পেলেন না বাড়ির লোকজন। শেষপর্যন্ত মেয়ের ঘর থেকে সদ্যজাতের কান্না শুনে দরজায় পড়ল ধাক্কা। দেখা গেল, কিশোরী মেয়ের কোলে কাঁদছে এক সদ্যজাত। 

এরপর তড়িঘড়ি করেই হাসপাতালে পাঠানো হয় সদ্যপ্রসূতি মা ও সন্তানকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কেরল রাজ্যের মলপ্পুরমে। পুলিশ পরপরই গ্রেফতার করেছে ওই কিশোরীর সদ্যজাতের জন্মদাতাকে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কেরলের মলপ্পুরমে বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকত ১৭ বছরের ওই কিশোরী। তবে গত সপ্তাহে নিজের ঘর থেকে একেবারেই বের হয়নি সে। জিজ্ঞাসা করলে উত্তর আসে, বিরক্ত করো না, স্কুলের অনলাইন ক্লাস চলছে। আর এতে কোনোরকম সন্দেহই হয়নি পেশায় নিরাপত্তারক্ষী বাবা ও দৃষ্টিহীন মায়ের। এভাবেই চলছিল।

এদিকে, নিজেকে ঘরবন্দি করে প্রসব বেদনায় অস্থির সপ্তাদশী ওই কিশোরী দেখতে থাকে কীভাবে নিজে নিজেই সন্তানের জন্ম দেয়া যায়- সেই ভিডিও। এ কাজে সে বেছে নেয় ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট ইউটিউব-কে। শেষ পর্যন্ত গত ২৪ অক্টোবর, ইউটিউবের ভিডিও দেখেই শেখা পদ্ধতি অবলম্বন করেই সন্তানের জন্ম দেয় সে।

এ পর্যন্ত সবকিছু ঠিকই ছিল। কিন্তু সমস্যাটা বাধে তিন দিন পর, যখন তাঁর সন্তানটি কেঁদে ওঠে। পাশের ঘরে থাকা মায়ের সন্দেহ হয় এতেই, শিশুর চিৎকার আসছে কোথা থেকে? দরজায় ধাক্কা দিতেই স্পষ্ট হয় সব কিছু। শিশু কোলে বসে আছে কিশোরী মা!

দ্রুত মা ও শিশুকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে মা ও শিশু, দু’জনেই সুস্থ আছে বলে জানা গেছে। 

এদিকে, সেই হাসপাতাল থেকেই খবর যায় থানা পুলিশে। তদন্ত করে পুলিশ ২১ বছরের এক যুবককে পকসো আইনে গ্রেফতার করেছে। 

জানা গেছে, ওই যুবক কিশোরীর প্রতিবেশী। দু’জনের মধ্যে অনেকদিন ধরেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলেই জানা যায়। কিন্তু এই ঘটনার কথা পরিবারের কাছে চেপে গিয়েছিল দু’জনেই।

কেরল পুলিশ সূত্রে খবর, সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর কীভাবে নাড়ি কেটে শিশুকে মায়ের শরীরের থেকে আলাদা করতে হয়, তা ইউটিউব দেখে সপ্তাদশী ওই কিশোরীকে শেখার পরামর্শ দিয়েছিল প্রেমিক যুবক। আর সেই মতোই সফলভাবেই কাজটি সম্পন্ন করে ওই কিশোরী মা। সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা।

এনএস//