ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

মধ্যপ্রদেশের হাসপাতালে আগুন, চার শিশুর মৃত্যু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫৯ এএম, ৯ নভেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার

ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে সরকারি এক হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালটির শিশুবিভাগে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ২৫টি অগ্নিনির্বাপন গাড়ী। বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণেও আনে তারা। তবে তার আগেই মৃত্যু হয় চার শিশুর।

আনন্দবাজার জানিয়েছে, সোমবার রাতে ভোপালের কমলা নেহরু হাসপাতালের শিশুদের আইসিইউ বিভাগে আগুন লাগে। তখন ওই বিভাগে অন্তত ৫০ জন শিশু ভর্তি ছিল। আগুন লাগার খবরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাদের পরিবার পরিজন। 

আগুন লাগার খবর টুইটারে জানান স্বয়ং মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। পরে শিশু মৃত্যুর খবরও তিনিই জানান টুইটারে।

মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘হাসপাতালের শিশুবিভাগে আগুন লাগার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করা গিয়েছে। আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণেও এসেছে। কিন্তু তিনটি শিশু যারা আগেই গুরুতর অসুস্থ ছিল, তাদের আর বাঁচানো যায়নি।’ 

মুখ্যমন্ত্রীর এই টুইটের কিছুক্ষণ পরে অবশ্য শিশু মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ে।

হাসপাতালে উদ্ধারকাজ চলাকালীন সেখানে যান মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্য শিক্ষামন্ত্রী বিশ্বাস সারং। তিনি বলেন, ঘটনার সময় ওই বিভাগে ৪০টি শিশু ছিল। তার মধ্যে ৩৬ জন আপাতত সুরক্ষিত। মৃত শিশুর পরিবারকে চার লাখ টাকা করে এককালীন অর্থসাহায্য করবে সরকার, জানান মন্ত্রী।

আগুন লাগার ঘটনা তদন্তে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। 

যদিও প্রাথমিক অনুমান, আগুন লেগেছে শর্ট সার্কিটের কারণেই। ভোপাল পৌরসভার অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের কর্মকর্তা রামেশ্বর নীল বলেন, ‘‘খুব সম্ভবত শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগে, তা দ্রুত হাসপাতালের ইলেকট্রিকের তারে ছড়িয়ে পরে। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা ফ্লোর।’’

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রাত ৮টা ৪০ মিনিট নাগাদ হাসপাতালের এক কর্মী আগুন লাগার খবর দেন কন্ট্রোল রুমে। দ্রুত তিনটি দমকল স্টেশন থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় অগ্নিনির্বাপণের ২৫টি গাড়ী। রাত ১২টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। তবে ততক্ষণে ক্ষতি হয়ে গিয়েছে বেশ।

রাতে টুইটারে শিশুদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ লেখেন, ‘শিশুদের অকাল মৃত্যু সব সময়েই বেদনাদায়ক। ঈশ্বরের কাছে ওদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। এই শিশুদের পরিবার পরিজনের প্রতিও আমার সমবেদনা। যারা এই ঘটনায় জখম হয়েছেন, তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’

এএইচ/