ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

নীলফামারীতে আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকের হাসি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:০০ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০২১ বুধবার

নীলফামারী জেলার মাঠজুড়ে এখন সোনালী আমন ধানের সমারোহ। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক।

জেলা সদরের পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের দীঘলটারী গ্রামের আবুল কালাম আজাদ (৪৫) এবার আমন আবাদ করেছেন ১২ বিঘা জমিতে। তিনি বলেন,‘অনুকুল আবহাওয়া ও সারের ঘাটতি না থাকায় আবাদ ভালো হয়েছে। এখন প্রতিটি ধানের শীষে সোনালী রঙ ধরেছে। ধান উঠার আগে কোন দুর্যোগ না হলে বাড়তি ফলনে বেশি লাভবান হতে পারবো।’

কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের মেলাবর গ্রামের কৃষক সফিকুল ইসলাম (৫০) বলেন, ২১ বিঘা জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছি। অনুকুল আবহাওয়া ও রোগবালাই কম হওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় এবার ১ লাখ ১৩ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে। গত আমন মৌসুমের তুলনায় বেশী আবাদ হয়েছে ৪৫৮ হেক্টর জমিতে।

ওই ১ লাখ ১৩ হাজার ১০০ হেক্টরের মধ্যে উফশি ৯৪ হাজার ১৩৪ হেক্টর, স্থানীয় জাত ৫১০ হেক্টর, ও হাইব্রিড ১৮ হাজার ৪২৫ হেক্টর। এর মধ্যে সুগন্ধি ধান রয়েছে প্রায় ৩১ হেক্টর জমিতে। চলতি মাসের শেষ নাগাদ ধান ঘরে তুলবেন কৃষক। শতভাগ ধান ঘরে তুলতে মাঠ পর্যায়ে উঠান বৈঠক করে ইদুর দমনসহ অন্যান্য কাজের জন্য পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

জেলা কৃষি সস্প্রসারণ দপ্তরের উপ-পরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, জেলায় উফশী জাতের আমন আবাদ হয়েছে ৯৪ হাজার ১৩৪ হেক্টর জমিতে। অধিক ফলনের জন্য স্থানীয় জাতের তুলনায় হাইব্রিড ও উফশী জাতের ধানের আবাদে কৃষকদেরকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আমন আবাদের উপযুক্ত পরিবেশসহ অন্য কোন ঘাটতি না থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে।

তিনি জানান, মাঠ পর্যায়ে উঠান বৈঠক করে ধানের রোগবালাই দমনসহ সঠিক সময়ে অন্যান্য পরামর্শ প্রদান করায় কোন পোকামাকড়ের আক্রমণ হয়নি ক্ষেতে।

এসি