ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩৬ পিএম, ১২ নভেম্বর ২০২১ শুক্রবার | আপডেট: ১২:৩৭ পিএম, ১২ নভেম্বর ২০২১ শুক্রবার

সারাবিশ্বে পালিত হচ্ছে নিউমোনিয়া দিবস। ২০০৯ সাল থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৭ সালের তথ্য হিসেবে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর ৮ লাখের বেশি শিশু প্রাণ হারায়। 

সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি থাকে।

দিবসটিকে সারাবিশ্বের মত বাংলাদেশেও গুরুত্ব দিয়ে পালন করা হয়। 

নিউমোনিয়া প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপী কাজ করছে স্টপ নিউমোনিয়া। দিবসটি উপলক্ষে সংস্থাটি জানায়, প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুমৃত্যুর একক বৃহত্তম কারণ নিউমোনিয়া। 

২০১৯ সালে ৬ লাখ ৭২ হাজার শিশুসহ নিউমোনিয়ায় ২৫ লাখ মানুষ মারা গেছে। ২০২০ সালে করোনার কারণে আরও মৃত্যু যোগ হয়ে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৪০ লাখের বেশি।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, ২০১৭ সালে ৫ বছরের কম বয়সী ৮ লাখ ৮ হাজার শিশু নিউমোনিয়ায় মারা যায়। ৬৫ বছরের বেশি বয়সী ও আগে থেকে বিভিন্ন অসুস্থতা রয়েছে এমন ব্যক্তিরাও নিউমোনিয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।

স্টপ নিউমোনিয়ার ২০১৭ সালের তথ্য অনুযায়ী বলছে, বাংলাদেশে নিউমোনিয়ায় মারা যাওয়া শিশুদের ৪৬ শতাংশ অপুষ্টির শিকার হয়। 

এছাড়া ৩০ শতাংশ গৃহস্থালির জ্বালানির দূষণ ও ২৬ শতাংশ অপরিণত বয়সে জন্ম নেওয়া শিশু ছিল। আর ২০১৮ সালে ১৩ শতাংশ শিশুর মৃত্যু হয় নিউমোনিয়ায়। ২০০০ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে নিউমোনিয়ায় মৃত্যুর হার হ্রাসের গড় বার্ষিক হার ৮ শতাংশ।

নিউমোনিয়া প্রতিরোধে সাধারণ কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। এগুলো হচ্ছে-

পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, নিয়মিত হাত ধোয়া, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে শিশুকে ভিটামিন-এ খাওয়ানো, বাড়ির পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা, ঘরোয়া বায়ুদূষণ কমানো, বিশুদ্ধ পানীয় জল, শৌচালয়ের সু-ব্যবস্থা,মাস্কের ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, ভিড় থেকে ছোটদের দূরে রাখা, অসুস্থদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা।

গত ১১ বছরে সচেতনতা বাড়ায় নিউমোনিয়ায় মৃত্যু হার অনেকাংশে কমিয়ে আনা গেছে। আগামী ২০২৫ সালে শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে তিনের নিচে নামিয়ে আনাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের লক্ষ্য।

সূত্র: এই সময় 

এমএম/