ঢাকা, সোমবার   ০৬ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২২ ১৪৩১

এয়ার পিউরিফায়ার এখন আর বিলাসিতা নয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:১৪ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০২১ বুধবার

প্রতিনিয়ত বায়ু দূষণের পরিমাণ বাড়ছে, যার মারাত্বক প্রভাব পড়ছে মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর। শীত ঘনিয়ে আসার ফলে বর্তমান সময়ে বাতাস শুষ্ক হয়ে ওঠায়, চারপাশের থাকা ধূলিকণা আরও হালকা হয়ে উঠেছে। 

ফলে, বাতাসে ধুলাবালিসহ অন্যন্য দূষিত পদার্থের পরিমাণ আরও বেড়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে ‘কপ-২৬’ -এ নতুন স্বাস্থ্য নির্দেশিকা প্রদান করেছেন। এর মাধ্যমে ডব্লিউএইচও বায়ুর নতুন মান নির্ধারণ করেছে। 

বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান নির্মাণ কাজ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মোটর গাড়ির ব্যবহার এবং নতুন কারখানা স্থাপনের ফলে বাতাসে ধুলাবালি, ধোঁয়া, ক্ষতিকর উপাদান এবং অন্যান্য অ্যালার্জি উদ্রেগকারি পদার্থের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাতাসে দূষিত উপাদানের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায়, বাংলাদেশ বায়ুর গুণগত মানের সূচকে (একিউআই) ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ের কাছাকাছি রয়েছে বলে জানিয়েছে আইকিউএয়ার।       

পিএম২.৫ নামে পরিচিত ২.৫ মাইক্রন ব্যাসের পার্টিকুলার ম্যাটার মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। গবেষণা বলছে, এটি রক্ত প্রবাহের সাথে মিশে মানুষের হৃদরোগ ও শ্বাসকষ্টের রোগের সৃষ্টি করতে পারে এবং দেহের অন্যান্য অঙ্গেও প্রভাব ফেলে। দূষিত বায়ুর ফলে দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেনের তুলনায় কম পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহ হয়, ফলে অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্বক প্রভাব ফেলা বায়ু দূষণজনিত উদ্বেগের পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মানুষকে আরও স্বাস্থ্যকর ও পরিচ্ছন্ন জীবনযাপনের প্রতি আগ্রহী করে তুলেছে। ঘর বা অফিসের মত আবদ্ধ স্থানগুলোতে নিঃশ্বাসের সাথে দূষণকারী পদার্থ এবং ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার সম্ভাবনা আরও বেশি থাকে, ফলে এটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশি বিপজ্জনক। এসব জায়গাকে বিপদ মুক্ত রাখতে প্রয়োজন এয়ার পিউরিফায়ারের।  

দূষিত বাতাস থেকে ঘর ও অফিসকে নিরাপদ রাখতে সিঙ্গার বাংলাদেশ সম্প্রতি সুইডেন থেকে দেশের বাজারে “ব্লুএয়ার জয় এস এয়ার পিউরিফায়ার” নিয়ে এসেছে। হাই-এফিসিয়েন্সি পার্টিকুলেট অ্যারেস্ট্যান্ট (এইচইপিএ সাইলেন্টটিএম) প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নত মানসম্পন্ন এ মেশিন প্রতি ঘণ্টায় ২০০ ঘনমিটার ডাস্ট-ফ্রি প্রবাহিত করে ৯৯.৯৬ শতাংশ বায়ুবাহিত জীবাণু বা দুষিত পদার্থ দূর করে। ব্যবহারকারীদের ফ্রেশ ও পরিস্কার নিঃশ্বাস নেয়া নিশ্চিত করতে এটি ১৭২ বর্গফুটের একটি রুমের বাতাস প্রতি ১২ মিনিট পরপর ঘণ্টায় ৫ বার পরিস্কার করে। এর বড় ফিল্টার ০.১ মাইক্রন পর্যন্ত বায়ুবাহিত জীবাণু বা দুষিত পদার্থকে ফিল্টার করে ফেলে। এই এয়ার পিউরিফায়ার থাকলে গন্ধ, ধোঁয়া, পোষা প্রাণীর গায়ের লোমের ফলে ব্যবহারকারীদের হাঁচি ও কাশি আসবে না। 

‘হুইসপারসাইলেন্ট’ ফিচারের ফলে এটি কানে লাগার মত শব্দ তৈরি করে না। সর্বনিম্ন সেটিংয়ে এটি মাত্র ১৭ ডেসিবল শব্দ উৎপন্ন করে, যা শুনতে একদমই ফিসফিস শব্দের মত। মাত্র ১.৫ কেজি ওজনের চমৎকার এই এয়ার পিউরিফায়ার দিবে ৩৬০-ডিগ্রি ফিল্টারেশন সুবিধা। এটি নিয়ন্ত্রন করা অত্যন্ত সহজ, সাধারণ এক মোচড় দিয়েই স্বয়ংক্রিয় এলার্টের মাধ্যমে এর ফিল্টার পরিবর্তন করা যাবে। 

চমৎকার এই এয়ার পিউরিফায়ার বিভিন্ন রঙে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এর সাথে রয়েছে এক বছরের পার্টস ও সার্ভিস ওয়্যারেন্টি সুবিধা এবং অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করলে ক্রেতারা আরও ৪ বছরের অতিরিক্ত ওয়্যারেন্টি সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য আপনিও আপনার বাড়ি বা কর্মস্থলের জন্য বিশ্বমানের এয়ার পিউরিফায়ারটি নিয়ে আসতে পারেন মাত্র ১৪,৯৯০ টাকায়।

এসি