ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১২ ডিসেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ২৭ ১৪৩১

মুন্সিগঞ্জে দগ্ধ ভাইবোনের মৃত্যু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:০৩ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০২১ শুক্রবার

মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার চরমুক্তারপুরের একটি ভবনে বিস্ফোরণে দগ্ধ ভাইবোনের মৃত্যু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার দিবাগত ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে শহরের চর মুক্তারপুরের শাহ সিমেন্ট রোডে জয়নাল মিয়ার চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় এই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে একই পরিবারের চারজনসহ ৫জন ঘুমন্ত অবস্থায় দগ্ধ হন। বিস্ফোরণে দগ্ধ প্রতিবেশী হৃতিকা পালকে (৪) স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজিব খান চিকিৎসকের বরাত দিয়ে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানী ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফাতেমা ওরফে নোহর (৩) ও ইয়াসিন (৬) মারা যায়। তাদের বাবা-মা এখন একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের অবস্থা সংকটাপন্ন। শান্তা বেগমের (২৭) শরীরের ৫৫ শতাংশ এবং বাবা কাওসার খানের (৩৬) ৬০ শতাংশ পুড়ে  গেছে। 

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- গ্যাস লিকেজ হয়ে কক্ষে জমে থাকা গ্যাস থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। শীতের কারণে কক্ষের সব জানালা বন্ধ ছিল। তবে প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। 

তিতাস গ্যাসের সহকারি কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম তুহিন বলেন, গ্যাস লিকেজের কোন প্রমাণ মেলেনি। তবে চুলোর সুইসটা তেমন ভালো না। রান্নার পরে চুলোর গ্যাস বন্ধ না করার কারণেও হতে পারে। 
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসিব সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের বলেছেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। তবে বিস্ফোণের সঠিক কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

প্রত্যক্ষদর্শী হাজী মজিবুর রহমান খান জানান, হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। এসে দেখি ৩টি রুমেই আগুন। ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই স্থানীয় লোকজন আগুন নেভায়। পরে শাহ সিমেন্ট কারখানা থেকে গাড়ি এনে দগ্ধ চারজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউট হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মোবিলাইজিং অফিসার দেওয়ান আজাদ হোসেন জানান, ধারণা করা হচ্ছে, পুঞ্জিভূত গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণটি হতে পারে। 

এসি