ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

প্রাকৃতিক পানীয়তেই বেশি পুষ্টি

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০২:০০ পিএম, ৭ ডিসেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার | আপডেট: ০২:২৪ পিএম, ৭ ডিসেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার

মানুষের পিপাসা মেটাতে বিভিন্ন ধরনের পানীয়র কদর রয়েছে। কিন্তু বাজারে যেসব পানীয় মিলছে সেসব মোটেও উপকারি বা স্বাস্থ্যকর নয়। বাজারের পাওয়া প্রায় সব পানীয়তেই বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যা দেহের জন্য যথেষ্ট ক্ষতিকর।

চিকিৎসকরা তাই পরামর্শ দিচ্ছেন, পিপাসা মেটাতে প্রাকৃতিক পানীয়ের শরণাপন্ন হতে। 

বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি সহজলভ্য প্রাকৃতিক পানীয়ের হদিসও দিয়েছেন। 

ডাবের পানিতে রয়েছে বেশ কিছু প্রাকৃতিক শক্তিবর্ধক খনিজের উপস্থিতি। এই পানীয়টিতে অবস্থিত পটাশিয়াম মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী।

কম্বুচা হল বিশেষ ভাবে তৈরি এক ধরনের চা যাতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। ভিটামিন বি,  গ্লুকোরনিক অ্যাসিড, পলিফেনল নানা স্বাস্থ্যবর্ধক পদার্থ রয়েছে। এটি বিশেষভাবে ব্যাক্টিরিয়া এবং ইস্ট সহযোগে তৈরি হয়, যা শরীরের জড়তা দূর করতে বিশেষ সাহায্য করে।

আখের রস খুবই সহজলভ্য একটি পুষ্টিকর প্রাকৃতিক পানীয়। এতে রয়েছে প্রোটিন, আয়রন, পটাশিয়াম এবং আরও নানা জরুরি পরিপোষক পদার্থ, যা শরীরকে চাঙ্গা করতে পারে খুব অল্প সময়েই। শুষ্কতা, জড়তা এবং পাচনতন্ত্রের নানা সমস্যা দূর করে এই আখের রস।

জলজিরা হল শারীরিক শক্তিবর্ধক একটি সুস্বাদু প্রাকৃতিক পানীয়। বিভিন্ন মশলা থাকার ফলে চটজলদি শরীর তরতাজা করে তুলতে এর জুড়ি মেলা ভার। হজমের সমস্যা দূর করতে, পাচনতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা মেটাতে এবং দেহের নিম্নাঙ্গের ব্যথা নিরাময়ের চিকিৎসায় এই পানীয় ব্যবহৃত হয়।

দরিদ্রদের প্রোটিন বলে পরিচিত ছাতুর মধ্যে রয়েছে আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়ামের মতো নানা জরুরি উপাদান। ছাতুর শরবত শরীরের উষ্ণতা ঝটপট কমিয়ে আনে, ফলে গরমের দিনে এর জুড়ি মেলা ভার।

আরএমএ