ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

সাজিদ ঘূর্ণিতে ফলোঅনের শঙ্কায় বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:০২ পিএম, ৭ ডিসেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার

৬ উইকেট শিকারের পথে সাজিদ খান

৬ উইকেট শিকারের পথে সাজিদ খান

পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে পরাজয়ের মূল কারণ সেই ব্যাটিং বিপর্যয়কে ঢাকা টেস্টেও টেনে এনেছে টাইগাররা। যার ফলে বৃষ্টি বিঘ্নিত মিরপুর টেস্টে এখন ফলোঅন এড়ানোর শঙ্কা জাগার পাশাপাশি শেষ দিনে দেখা দিয়েছে হারের শঙ্কাও।

দুই উইকেটে ১৮৮ রান নিয়ে বৃষ্টিবিঘ্নিত টেস্টের চতুর্থ দিন শুরু করে সফরকারীরা। দুই অপরাজিত ব্যাটার বাবর আজম ৭৬ ও আজহার আলী ৫৬ রান করে আউট হলেও মোহাম্মদ রিজওয়ানের অপরাজিত ৫৩ ও ফাওয়াদ আলমের অপরাজিত ৫০ রানের ইনিংসে ভর করে ৪ উইকেটে ৩০০ রান তুলেই ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় এক রানেই আউট হয়ে ফেরেন অভিষিক্ত মাহমুদুল হাসান জয়। এরপর নাজমুল হোসাইন শান্তকে নিয়ে সাদমান ইসলাম দেখেশুনে খেলার চেষ্টা করলেও বাঁহাতি এই ওপেনারের ইনিংসও থামে এক অংকেই। সাজঘরে ফেরার আগে ২৮ বলের মোকাবেলায় ৩ রান করেন সাদমান।

এরপর শান্তকে রেখেই একে একে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক মোমিনুল হক (১), মুশফিকুর রহিম (৫) ও লিটন দাস (৬)। অর্থাৎ বোর্ডে মাত্র ৪৬টি রান জমা পড়তেই ৫ উইকেট খুইয়ে বসে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামেন সাকিব আল হাসান। 

তাঁকে সঙ্গী করে সাবলীলভাবেই খেলছিলেন শান্ত। কিন্তু বিধি বাম! ব্যক্তিগত ১৫ রানে রিভিউ নিয়ে নো বলের জেরে জীবন পেয়ে আর মাত্র ১৫টি রানই যোগ করতে পারেন বাঁহাতি এই প্রতিভাবান। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজিদ খানের পঞ্চম শিকারে পরিণত হন শান্ত। তাঁর ৫০ বলে গড়া ৩০ রানের ইনিংস থামে দলীয় ৬৫ রানে।

থিতু হতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজও। সপ্তম ব্যাটার হিসেবে কোনো রান না করেই তিনি আউট হন দলীয় ৭১ রানে। এরপর তাইজুল ইসলামকে নিয়ে দিনের শেষ ৩২টি বল পার করেন সাকিব। অপরাজিত থাকেন ৩২ বলে ২৩ রান করে।

তাঁর সঙ্গী তাইজুল ১০ বল মোকাবেলা করলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি এই লেট অর্ডার। যাতে ২৬ ওভার শেষে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭৬-এ। অর্থাৎ ফলোঅন এড়াতে আরও ২৫টি রান করতে হবে স্বাগতিকদের। পাকিস্তানের পক্ষে সাজিদ খান ৩৫ রান দিয়ে একাই শিকার করেন ৬টি উইকেট।

এনএস//