ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

পর্যটক ধর্ষণের ঘটনায় ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

প্রকাশিত : ০৯:২৭ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:২৩ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার

কক্সবাজারে স্বামী-সন্তান নিয়ে বেড়াতে এসে নারী পর্যটক ‘সংঘবদ্ধ’ ধর্ষণের ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২ থেকে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টারদিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ওই নারীর স্বামী বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

সত্যতা নিশ্চত করে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, কক্সবাজারে নারী পর্যটক ধর্ষণের ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড হয়েছে। আসামিরা হলেন, আরিফুল ইসলাম আশিক, বাবু, ইসরাফিল ও রিয়াজ উদ্দিন। মামলাটি  ট্যুরিস্ট পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, কক্সবাজারে স্বামী-সন্তান নিয়ে বেড়াতে এসে ‘সংঘবদ্ধ’ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী পর্যটক। তুচ্ছ ঘটনায় স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে ৩জন যুবক মিলে ওই নারী পর্যটককে ধর্ষণ করে হোটেলে রেখে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই পর্যটক দম্পতি ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে কক্সবাজার বেড়াতে গিয়েছিল।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ২টার দিকে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের হোটেল থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

ধর্ষণের শিকার নারী অভিযোগ করেন, ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজার বেড়াতে আসেন ওই নারী পর্যটক। ওঠেন শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে। সেখান থেকে বিকালে যান সৈকতের লাবনী পয়েন্টে। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে; কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার আট মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আরেকটি অটোরিকশায় ওই নারীকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তিন জন। এর পর তাকে নেয়া হয় জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে। সেখানে আরেক দফা তাকে ‘সংঘবদ্ধ’ ধর্ষণ করেন ওই তিন যুবক। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে কক্ষ বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তারা।

র্্যাব-১৫ কক্সবাজার কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বলেন, খবর পেয়ে স্বামী-সন্তান ও গৃহবধূকে উদ্ধার করি। তদন্ত শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত তিনজনের মধ্যে দুজনকে শনাক্ত করেছি। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। ধর্ষণের শিকার নারী পর্যটক কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ওয়ান স্টম ক্রাইসিস কক্ষে প্রেরণ করা হয়েছে।

আরকে//