ঢাকা, শুক্রবার   ১৭ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

আচমকা অবসরে ডি কক, নেপথ্যের কারণ কি?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৮ এএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শুক্রবার

আচমকা টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার ঘোষণা দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান উইকেট কিপার তথা ব্যাটার কুইন্টন ডি’ কক। তার এমন সিদ্ধান্তে হতবাক হয়েছেন অনেকেই। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তের বিষয়ে অবিচল এই ব্যাটার। পারিবারিক ও ব্যক্তিগত বিষয়কে চিহ্নিত করে বিদায় নিলেও জল্পনা শুরু হয়েছে তাকে নিয়ে।

যদিও এ প্রসঙ্গে ডি কক জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারে বদল আসছে। এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তিনি পরিবারকে সময় দিতে চান। আসলে ব্যাটার ও তাঁর স্ত্রী সাশার প্রথম সন্তান জন্ম নিতে চলেছে কিছুদিনের মধ্যেই। 

ডি’ ককের কথায়, ‘জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। তবে এই সিদ্ধান্তটা একেবারেই সহজ ছিল না। আমি অনেকটা সময় নিয়ে ভেবেছি। কিন্তু, এই মুহূর্তে আমার প্রায়োরিটি ঠিক কী সেটা বিচার করলাম। ভবিষ্যতের কথা ভাবলাম। আমি আর সাশা এই মুহূর্তে সদ্যোজাতর জন্য অপেক্ষা করছি। আমাদের পরিবার বড় হচ্ছে। এমন অবস্থায় পরিবারকে সময় দেওয়াটাই বড় বলে মনে হয়েছিল।’

গত টি-২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলাকালীন ‘বর্ণবিদ্বেষী’ তকমা লেগেছিল ক্রিকেট তারকার গায়ে। ওই সিরিজ চলাকালীন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। খেলা শুরুর আগে দুই দেশের ক্রিকেটাররা হাঁটু মুড়ে বসে বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। কিন্তু, ডি কক তেমনটা করেননি। তিনি মাঠের এককোণে দাঁড়িয়েছিলেন। বিষয়টি রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরেই এ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয় গোটা বিশ্বে। পরবর্তীতে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে ক্ষমাও চেয়েছিলেন ব্যাটার। কিন্তু, তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। ওই ঘটনার মাসতিনেকের মধ্যে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ক্রীড়া মহল।

এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ঘোষণা করা হয়, প্রোটিয়ার উইকেট কিপার তথা ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি’ কক টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবিলম্বে অবসর নিচ্ছেন। এই মুহূর্তে তিনি নিজের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চান বলেই জানিয়েছেন তিনি।

এদিন ভারতের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরিয়ান সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচে হারের পরেই ওই সিদ্ধান্তের কথা জানান ব্যাটার। এদিনের ম্যাচে ভারত ১১৩ রানে জিতেছে। ডি কক এদিন বলেন, ‘আমার কাছে আমার পরিবারই সব। আর সেই কারণেই পরিবারকে সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম। এই মুহূর্তে সাশাকে যতটা সম্ভব সময় দিতে চাই। নতুন অধ্যায়ে ওঁর পথচলার সঙ্গী হতে চাই। তবে এটাও না বললে নয় যে আমি টেস্ট ক্রিকেট ভালোবাসি। দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতেও ভীষণ ভালোবাসি। খেলার সবকিছুই আমার পছন্দের। ক্রিকেট জীবনের চড়াই-উতরাই সবই আমার খুব পছন্দের। সেলিব্রেশন থেকে হতাশা সবই এনজয় করেছি। কিন্তু, এই মুহূর্তে এই ভালোবাসার চেয়েও বড় ভালোবাসা এসেছে আমার জীবনে।’

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে অভিষেক হয়েছিল কুইন্টন ডি’ককের। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে মোট ৫৪ টি টেস্ট খেলে ৩৩০০ রান করেছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে ৬ টি শতরান। উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে নিয়েছেন ২২১ টি ক্যাচ। ১১ টি স্টাম্পও করেছেন তিনি।
এসএ/