ঢাকা, বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

বিচারপতি হাবিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪৫ এএম, ১১ জানুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার

সাবেক প্রধান বিচারপতি ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, মুক্তচিন্তার লেখক বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী ১১ জানুয়ারি, মঙ্গলবার। ২০১৪ সালের এই দিনে তিনি ৮৫ বছর বয়সে মারা যান। 

বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ছিলেন একাধারে স্বনামধন্য লেখক, বিশ্লেষক ও কবি। বাংলায় কোষগ্রন্থ রচনায় তিনি অসামান্য অবদান রাখেন। পেশাগত জীবনে অসামান্য সাফল্য, স্বল্প সময় দেশ পরিচালনাকালে ১৯৯৬ সালে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান করে তিনি জাতির শ্রদ্ধার আসনে স্থান পান। তার সততা, নিষ্ঠা ও দৃঢ় ব্যক্তিত্ব সব দল-মতের ঊর্ধ্বে জাতির বিবেকের কণ্ঠস্বর হিসেবে তাকে প্রতিষ্ঠিত করে।

১৯২৮ সালের ৩ ডিসেম্বর ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গীপুর মহকুমার দয়ারামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হাবিবুর রহমান। ভারত ভাগের পর ১৯৪৮ সালে তার বাবা মৌলভী জহিরউদ্দিন বিশ্বাস মুর্শিদাবাদ ছেড়ে রাজশাহীতে চলে আসেন এবং স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি আইন ব্যবসাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন এবং ঢাকা হাইকোর্ট বারে যোগ দেন। ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। ১৯৮৫ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ লাভ করেন। তিনি ১৯৯৫ পর্যন্ত আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯০-৯১ মেয়াদে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলে মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। একই বছরে তিনি অবসরে যান। সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে তিনি ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন। সে সময় সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা হলে তিনি তা অসামান্য দৃঢ়তার সঙ্গে রুখে দেন এবং অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বিভিন্ন সংগঠন ও পরিবার নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাকে স্মরণ করবে। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে মরহুমের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মাহফিল।
এসএ/