ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

শীতে গাল চুপসে গিয়েছে? জানুন কারণ ও বিশেষজ্ঞ মতামত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০৫ এএম, ১২ জানুয়ারি ২০২২ বুধবার

মুখের সৌন্দর্য আমরা সকলেই চাই। তবে চাইলেই তো আর সব চাওয়া-পাওয়া আমাদের কাছে হাজির হয় না। তেমনই কিছু মানুষের গাল থাকে চুপসানো। দেখলে মনে হয়, মুখের ভিতর গাল কেমন ঢুকে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সমস্যাকে দেখনদারির সমস্যা ভাবলে চলবে না। এর পিছনে থাকতে পারে অনেক বড় শারীরিক সমস্যা। তাই এমনটা দেখলে শীঘ্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত!

চুপসে যাওয়া গাল

বিজ্ঞানসম্মত ভাযায় জায়গোমা (চোখের নীচে থাকা হাড়) এবং ম্যানডিবেল (নীচের মাড়ির)-এর মধ্যে মাংস না থাকলে বলা হয় সাঙ্কেন চিকস। বিজ্ঞানের ভাষায় খটমট লাগলেও, আমরা সকলেই এই সমস্যা দেখেছি, চিনিও। এক্ষেত্রে গালে মাংস না থাকার সমস্যাকে চুপসে যাওয়া গাল হিসেবে চিনি আমরা।

গাল চুপসে যাওয়ার কারণ

গাল চুপসে যাওয়ার নেপথ্যে সবথেকে বড় কারণ হল বয়স। বয়সকালে মানুষের মুখের ফ্যাট দ্রুত কমে যেতে থাকে। তাই গাল চুপসে যায়। এছাড়াও এই কারণগুলি থেকেও গাল চুপসে যেতে পারে।

>কোন শারীরিক অসুস্থতা।
> খাবার ঠিক না খাওয়া।
> খারাপ অভ্যাস।
> প্রকৃতিগত কারণ।

এছাড়াও গাল চুপসে যাওয়ার নেপথ্যে থাকতে পারে অনেক জটিল রোগ। এক্ষেত্রে ক্যাান্সার, ভাস্কুলার ইডিএস, লিপোয়েট্রফি, বুলিমিয়া, অ্যানোরেক্সিয়া, টিউবারকুলোসিসের মতো সমস্যা থাকতে পারে।

আবার আমাদের মতো দেশে কিছু মানুষ ভালো মতো খেতে পান না। আবার যারা খেতে পান তারাও ঠিক মতো ডায়েট ধরে রাখেন না। এই দুই কারণেই দেখা দিতে পারে অপুষ্টি। এছাড়া শরীরে পানির ঘাটতি হলেও দেখা দিতে পারে এই সমস্যা।

মানুষের কিছু বদভ্যাসের কারণেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।

> প্রতিনিয়ত ধূমপান করা।
> শরীরের ফ্যাট কমানোর জন্য অত্যধিক এক্সারসাইজ করা। এই পরিমাণ এক্সারসাইজের আমাদের প্রয়োজন নেই।
> ঘুম ঠিক মতো না হওয়া।

এছাড়াও খুব খারাপ পরিবেশ অর্থাৎ খুব ঠান্ডা, খুব গরম এমন পরিবেশে দীর্ঘদিন থাকলে মুখের ত্বক নিজের ক্ষমতা হারায়। তখন এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কেউ নিজে থেকে ওজন কমাতে চাইলে কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু হঠাৎই কারও গাল চুপসে গেলে পিছনে থাকতে পারে বড় কোন রোগ। সেক্ষেত্রে সচেতন হয়ে যাওয়াটাই জরুরি।

চিকিৎসা কী?

এক্ষেত্রে প্রথমে দেখতে হয় ঠিক কী কারণে এই সমস্যা হচ্ছে। সেই রোগের চিকিৎসা করতে হয়। তাহলেই দূর হয় সমস্যা। আর ব্যক্তি যদি নিজেই ওজন কমাতে চান সেক্ষেত্রে তো চিকিৎসার দরকার নেই।

সূত্র: এই সময়
এমএম/