ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

ঝিকরগাছায় ফের মেয়র নির্বাচিত মোস্তফা আনোয়ার

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:১০ এএম, ১৭ জানুয়ারি ২০২২ সোমবার

আইনী জটিলতায় এক মেয়াদে টানা ২১ বছর ধরে যশোরের ঝিকরগাছা পৌরসভার মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল ফের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। সর্বশেষ ২০০১ সালের ২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল ভোট। এরপর আইনী জটিলতায় বন্ধ থাকে এই পৌরসভার নির্বাচন। 

রোববার (১৬ জানুয়ারি) নির্বাচনে আরও ৫ বছরের জন্য মেয়র নির্বাচিত তিনি। 

আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৭৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কম্পিউটার প্রতীকের ইমরান হাসান সামাদ নিপুন পেয়েছেন ৬ হাজার ১২৬ ভোট। 

রাতে ভোট গণণা শেষে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচনকে ঘিরে পৌরসভা জুড়েই উৎসবের আমেজ ছিল ভোটারদের মাঝে। দীর্ঘ ২১ বছর পর অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে মেয়র পদে ৬ জন, ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৬৬ জন এবং তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। 

প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিয়েছেন এ পৌরসভার ভোটাররা। প্রথমবার ইভিএমে ভোট দিতে পেরে খুশি তারা।

জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ৪ এপ্রিল যশোরের ঝিকরগাছা পৌরসভার যাত্রা শুরু হয়। এই পৌরসভার ভোটাররা প্রথম ও সর্বশেষ ভোট দেন ২০০১ সালের ২ এপ্রিল। ৫ বছর পর ২০০৬ সালের ১২ মে এ পৌরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। কিন্তু নির্বাচন হওয়ার আগেই ২০০৬ সালে সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন ঝিকরগাছার পৌরসভার কাওরিয়া গ্রামের মৃত মোয়ালেম আলির ছেলে শাহিনুর রহমান, মল্লিকপুরের মৃত উলিউল্লাহ মুনসীর ছেলে সাইফুজ্জামান এবং বামনআলী গ্রামের মৃত নেয়াব মোড়লের ছেলে সাহাদত হোসেন। 

তিনটি মামলার বাদী তিনজন হলেও মামলার বিষয় ছিল একই।

মামলায় বাদীরা উল্লেখ করেন, তাদের এলাকায় দরিদ্র মানুষের বাস, আয় কম, পৌর এলাকায় অন্তর্ভুক্ত হলে তাদের বেশি করে ট্যাক্স দিতে হবে। ফলে তারা পৌর এলাকার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে চান না। এই মামলার কারণে নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্ট। 

সম্প্রতি মামলার বাদীর এলাকা বাদ রেখেই নির্বাচনের নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী ২১ বছর পর ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় ঝিকরগাছা পৌরসভা নির্বাচন।
এএইচ/