ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

কমিশন গঠনে আইন করার প্রস্তাব বেশির ভাগ দলের (ভিডিও)

রিয়াজ সুমন

প্রকাশিত : ১১:৫৫ এএম, ১৯ জানুয়ারি ২০২২ বুধবার

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল অংশ না নিলেও বেশকিছু প্রস্তাবনা দিয়েছে অংশ নেয়া দলগুলো। বেশিরভাগ দলই কমিশন গঠনে আইন করার প্রস্তাব দিয়েছে। পাশাপাশি ইসির আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা নিশ্চিত করারও প্রস্তাব করে দলগুলো। 

১৪ ফেব্রুয়ারি মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের। এই সময়ের মধ্যে নতুন ইসি গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি। আর ওই কমিশনের অধীনেই হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। 
কমিশন গঠনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শেষ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ। 

নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩২টি দলকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। অংশ নেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ ২৫টি দল। আমন্ত্রণ পায়নি ৭টি রাজনৈতিক দল। আমন্ত্রণ পেয়েও বিএনপি, সিপিবি, বাসদসহ সাতটি দল সংলাপে যায়নি।

সংলাপে অংশ নিয়ে ২৫টি দলের মধ্যে ২১টি দলই আইন করার প্রস্তাব দিয়েছে। ৫টি দলের কাছ থেকে এসেছে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রস্তাব। সার্চ কমিটি চেয়েছে ৯টি দল।

পাঁচ বছর পরপর যাতে নির্বাচন কমিশন গঠনে বিব্রত হতে না হয় সে কারণেই আইন প্রয়োজন বলে মনে করে আওয়ামী লীগ। 

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শুধু সার্চ কমিটি গঠনের আইন প্রণয়নের কথা বলেনি। আওয়ামী লীগ বলেছে নির্বাচন কমিশন গঠনেরও আইন করতে হবে। কোন পদ্ধতিতে কারা এই নির্বাচন কমিশন গঠনের সদস্য হবেন। সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব কিন্তু মন্ত্রিসভার বৈঠকে রয়েছে।’

রাজনীতিকরা বলছেন, বেশির ভাগ দলই আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছে, তাই দ্রুত আইন করে এর বাস্তবায়ন দরকার। 

জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আকতার বলেন, ‘মন্ত্রী পরিষদে এই নির্বাচন কমিশন গঠনের একটি খসড়া আইন পাস হয়েছে। এটি এখন সংসদে আসবে। আমরা আশা করব, অতি দ্রুত আইন করে একটি ব্যবস্থা যাতে আগেই নেয়া যায়। তাহলে রাষ্ট্রপতির জন্য সহজ কাজ হয়ে যাবে।’

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মশিউর রহমান রাঙা বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতির উপর অনেকটা নির্ভর করছে। উনি ইচ্ছা করলে এটা করতে পারেন এবং করাটা ওনার জন্য অনেক সহজ হয়ে গেছে।’

সংলাপে অংশ নেয়া রাজনীতিকরা বলছেন, সংলাপে অংশ না নেয়া দলগুলো রাজনীতিতে অপরিপক্কতার পরিচয় দিয়েছে। 

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘তাদের কথাগুলো যদি না রাখা হতো তাহলে তারা গণমাধ্যমকে বলতে পারতেন, মানুষের কাছে যেতে পারতেন।’

শিরীন আকতার বলেন, ‘তারা বলছেন সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাতে বাধ্য করবেন, এই সরকারের অধীনে নয়, অন্য সরকার প্রয়োজন। তার মানে নির্বাচন তাদের উদ্দেশ্য নয়। তাদের আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে ক্ষমতায় যারা আছেন মুক্তিযুদ্ধের শক্তি, তাদেরকে অপসারিত করা।’

রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপের পর রাষ্ট্রপতি কি সিদ্ধান্ত নেন সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।

এএইচ/