ঢাকা, শনিবার   ১২ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২৭ ১৪৩১

টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে বাগেরহাটে শিক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৩ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০২২ শনিবার

বাগেরহাটে করোনা টিকার ২য় ডোজ নিতে কেন্দ্রগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড় বাড়ছে। শনিবার (২২ জানুয়ারি) সকাল থেকে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল টিকাদানকেন্দ্রসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকাদান কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। শিক্ষার্থীদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে টিকাদানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের। 

শিক্ষার্থীদের দাবি প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীক আলাদা আলাদা দিন ও সময় নির্ধারণ করে দিলে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ভিড় এড়ানো সম্ভব। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, দুই একদিনের মধ্যে ভিড় কমে যাবে।

আজ শনিবার সকালে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল টিকাদান কেন্দ্রের সামনে দেখা যায় লম্বা লাইনে দাড়িয়ে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীসহ টিকা গ্রহণের অপেক্ষা করছেন। বিভিন্ন এলাকা ও প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছেন তারা। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই তাদের মাঝে। তবে কয়েক ঘন্টা অপেক্ষার পরেও টিকা দিতে পেরে খুশি শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থী বিজয় দে বলেন, সকাল থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। ১২টার দিকে টিকা দিতে পেরেছি। টিকা দেওয়ার পরে দুই ঘন্টা দাড়িয়ে থাকার ক্লান্তি ও বিরক্তিভাব কেটে গেছে। আশা করি, ২য় ডোজ টিকার মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তা আমাদের রক্ষা করবেন।

আরেক শিক্ষার্থী মুনিয়ারা আক্তার বলেন, টিকাদান কেন্দ্রে অনেক ভিড়। প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী যদি টিকাদানের সময় বলে দেওয়া হত, তাহলে  ভিড় এড়ানো যেত।

মেয়েকে টিকা দিতে আসা এক শিক্ষার্থীর বাবা রুহুল আমিন বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকাদানের বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ আরও বেশি সচেতন হতে পারতো। তাহলে অনাকাঙ্খিত ভিড় ও সমস্যা এড়ানো যেত।

টিকাদান কেন্দ্রে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্বে থাকা বাগেরহাট রেড ক্রিসেন্টের যুব প্রধান শরিফুল ইসলাম জুয়েল বলেন, সকাল থেকেই প্রচুর শিক্ষার্থীরা টিকা নিতে আসেন। শিক্ষার্থীরা নিয়ম মেনে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা গ্রহণ করলেও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীরা এসে খুব ঝামেলা করে। তাদের কারণে টিকাদান কার্যক্রম ব্যহত হয়। প্রভাবশালীদের নিয়ম ভাঙ্গার ইচ্ছা ও অযাচিত হস্তক্ষেপের ফলে আরও বেশি দেরি হয় আমাদের।

বাগেরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ কুমার বখসি বলেন, কোভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাগেরহাট জেলা অনেক এগিয়ে রয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার প্রায় ৬৩ ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এই সংখ্যাকে আমরা শতভাগে নিতে পারব। যারা টিকা নেননি তাদেরকে দ্রুত টিকা নেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।

বাগেরহাট সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট জেলায় ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে এইচএসসি পর্যন্ত (১২ থেকে ১৭ বছর) বয়স পর্যন্ত ১ লাখ ৫২ হাজার ৬৪৪ জন শিক্ষার্থী টিকাগ্রহণ করেছে। এই সংখ্যাকে শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণের হার শতভাগ বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগ। অন্যদিকে ২২ জানুয়ারি বিকেল পর্যন্ত ৪০ হাজার ২৮৯ জন শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। যা ১ম ডোজ গ্রহণকারীদের শত করা ২৯ দশমিক ৪৮ ভাগ।

এছাড়া বাগেরহাট জেলায় প্রাপ্ত বয়স্ক ১০ লাখ ৯৬ হাজার ১১৭ জনকে প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে। যা মোট জনসংখ্যার ৬২ দশমিক ৪৯ শতাংশ। প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৭ লাখ ২৩ হাজার ৮১৬ জন। বুষ্টার ডোজ দেয়া নিয়েছেন ২০ হাজার ১১২ জন। 
কেআই//