ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

ক্যান্সারে ভাঙতে বসেছে তানজিয়ার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন

গবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ০২:৫৯ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শনিবার | আপডেট: ০৩:২০ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শনিবার

তানজিয়া হাসান

তানজিয়া হাসান

দুরারোগ্য মরণব্যাধি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত মার্কস মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস কোর্সে ৫ম বর্ষে অধ্যয়নরত মেধাবী ছাত্রী তানজিয়া হাসান। বর্তমানে তিনি সিরাজ খালেদা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড জেনারেল হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. সালেহ আহম্মেদের অধীনে চিকিৎসারত আছেন। খুবই সঙ্কটাপন্ন এই মেধাবী ছাত্রীর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৪০ লাখ টাকা।

তানজিয়ার মা আফরোজা খাতুন বলেন, আমার মেয়ে ৩য় পেশাগত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেও পরীক্ষা দিতে পারে নাই। পরীক্ষা চালাকালীনই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গেই আমরা বিভিন্ন হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পারি, সে মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত। অবস্থার বেগতিক দেখে সাথে সাথে আমরা হাসাপাতালে ভর্তি করায়। দীর্ঘ ৬ মাস ধরে তার চিকিৎসা চলছে। আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি।

তিনি আরও বলেন, ডাক্তারগণ বলছে, তার বোনমেরু ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে, যার জন্য ৪০ লাখ টাকা লাগবে। কিন্তু আমাদের পক্ষে এত টাকা খরচ করে চিকিৎসা প্রদান করানো সম্ভব নয়। আমার মেয়ে বারবার বাঁচার আকুতি জানাচ্ছে। আপনাদের সবার নিকট অনুরোধ, মানবিকতার খাতিরে আমার মেয়েটাকে সাহায্য করে ওকে নতুন জীবন ফিরিয়ে দিতে এগিয়ে আসুন।

শিক্ষার্থী তানজিয়া হাসানের সার্বিক বিষয়ে চিকিৎসক সালেহ আহম্মেদ বলেন, রোগীর কেমোথেরাপিপূর্বক সাড়া খুবই ভালো। তাই যত দ্রুত সম্ভব বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে। যত দ্রুত এই ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে পারব, ততই তাঁর বাঁচার সম্ভাবনা বেশি।

প্রসঙ্গত, বোন ম্যারো (অস্থি মজ্জা) হল- একটি বিশেষ স্পঞ্জের মতো ফ্যাটি টিস্যু যেখানে রক্তের স্টেম সেল থাকে। এই স্টেম সেলগুলো কিছু বড় হাড়ের মধ্যে থাকে এবং নিজেদের শ্বেত এবং লোহিত রক্ত কনিকা এবং প্লাটিলেটে পরিবর্তিত করে। বোন ম্যারো, এইভাবে আমাদের শরীরে রক্ত কনিকা প্রস্তুতিতে একটি গুরুত্বপূরণ ভূমিকা পালন করে।

আর বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট (বিএমটি) বা স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট হল এমন একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে অকার্যকর অস্থি মজ্জা থাকা ব্যক্তির দেহে স্বাস্থ্যকর অস্থি মজ্জা স্থাপন করা হয়।

এনএস//