ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বাংলা ভাষা, স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু একই সূতোয় গাঁথা (ভিডিও)

মুশফিকা নাজনীন

প্রকাশিত : ১১:৫৪ এএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সোমবার | আপডেট: ১২:৫৯ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সোমবার

একুশের চেতনা  গণতান্ত্রিক ও ন্যায়ভিত্তিক  রাষ্ট্রব্যবস্থার স্বপ্ন  দেখিয়েছিল বাঙালিকে। নবজাগৃতির সেই স্বপ্নদ্রষ্টাদের অন্যতম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি ভাষা আন্দোলনের সূচনা পর্ব থেকে শেষ অব্দি ছিলেন অনন্য এবং অনবদ্য। বাংলা ভাষা, স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু তাই একই সূতোয় গাঁথা। 

পাকিস্তানের ৫৬ শতাংশ মানুষের ভাষা ছিল বাংলা। আর ৭ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ কথা বলতো উর্দুতে।

এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ক্রমশ ফুঁসে উঠেছিল বাঙালি। যাঁদের কাতারে অন্যতম ছিলেন তৎকালীন ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯৪৮ সালের ১১ই মার্চ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে সারাদেশে সর্বাত্মক ধর্মঘট পালিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন শেখ মুজিব। 

পাকিস্তানের গর্ভণর জেনারেল মুহম্মদ আলী জিন্নাহর উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা-এই উক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আন্দোলন শুরু হলে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা মূখ্য হয়ে ওঠে। খাজা নাজিমুদ্দিনের সঙ্গে তুমুল বাদানুবাদ করেন শেখ মুজিব। 

ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সারাদেশ সফর করে। ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ায় ১৫ই মার্চ শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করে পাকি জান্তার দল। 

ঢাকা কারাগারে ছাত্রদের সাথে কোনো ধরণের যোগাযোগ যাতে করতে না পারেন তারজন্য বঙ্গবন্ধুকে ফরিদপুর জেলে পাঠায় পাকিস্তান সরকার। এরপর কয়েক দফায় গ্রেফতার হন বঙ্গবন্ধু। ১৯৪৯ সালে আবারও তাঁকে আটক করে পাকি জান্তারা।   

১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ছাত্র বিক্ষোভে শহীদ হন রফিক শফিক সালাম বরকত জব্বারসহ অন্যরা।  

এই আন্দোলনের সময় বঙ্গবন্ধু জেলে ছিলেন। সেখান থেকেই রাষ্ট্রভাষা বাংলাকে স্বীকৃতি ও পূর্ব পাকিস্তানের সব ধরনের নীপিড়ন বন্ধের দাবিতে লাগাতার অনশন করেন। 

জনগণের চাপে ১৯৫২ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি জেল থেকে মুক্তি পান বঙ্গবন্ধু।  

১৯৪৮ সালের মার্চে সীমিত পর্যায়ে ভাষা আন্দোলন শুরু হয়। আর ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি তার চরম প্রকাশ ঘটে। লাগাতার এই আন্দোলন সংগ্রামে প্রেরণা যোগাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা ছিলো অগ্রণী। বাংলার মানুষের মুক্তির নেশায় এগিয়ে চলা এই মহামানবের কীর্তি তাই অনবদ্য।    

এসবি/