কলারোয়ায় কুল চাষে আশার আলো চাষীদের
কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১২:০২ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার

অল্প সময়ে কুল চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা হওয়ায় সাতক্ষীরার কৃষক ও শিক্ষিত বেকার যুবকরা কুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। কুল উচ্চ ফলনশীল জাতের ফল হওয়ায়, শীতকালে বাজারে এর চাহিদা থাকে ব্যাপক। সাতক্ষীরার বাজারে কুলের চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, সাভার, গাজীপুর, খুলনা, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যায় এসব কুল।
কুলগাছ লাগানোর ৭ মাস পর থেকে ফুল আসতে শুরু হয়। কুলের কাঁচা-পাকায় গায়ের রং সবুজ, হলদে, গাড় খয়েরি। ভেতরের রং সাদা। প্রতি বিঘায় কুলবাগানে বছরে খরচ হয় প্রায় ৩০ হাজার টাকা। খরচ বাদে বিঘায় প্রায় এক লাখ টাকা লাভ হয়। শিক্ষিত বেকার যুবকরা কুলবাগান দেখে চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। স্থানীয় পর্যায়ে প্রতি কেজি কুল বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা দরে। এসব কুলের সাইজ বড় হওয়ায় এক কেজিতে ১৪-১৮টি হয়।
সাতক্ষীরার কেঁড়াগাছি গ্রামের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা রানা হোসেন জানান, পড়াশোনার পাশাপাশি কৃষি নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা তার। সেই চিন্তা থেকে ভারতসুন্দরী ও বলসুন্দরী জাতের কুল চাষ করছেন ৬ বিঘা জমিতে। বাগানের বয়স ৯ মাস। ফলন ভালো হওয়ায় বিঘায় ৭০-৮০ হাজার টাকা লাভ হবে খরচ বাদে। কুলবাগান করতে প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে হতার। এছাড়া আম, পেয়ারাসহ অন্য ফসল চাষও করছেন তিনি।
কলারোয়া উপজেলার গাড়াখালি গ্রামের কৃষক ইব্রাহিম জানান, তিনি উচ্চ ফলনশীল জাতের কুলের চারা সংগ্রহ করেন। এটি লাভজনক ব্যবসা, খরচও তুলনামূলক অনেক কম। ফলে কুল চাষে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে প্রতি বছর।
তিনি জানান, বর্তমানে টক-মিষ্টিসহ বিভিন্ন জাতের কুল চাষ হচ্ছে। ভালো জাত নির্বাচন করে কুল চাষ করতে হবে। বাজারে কুলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সাতক্ষীরার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্য জেলায় যাচ্ছে এসব কুল।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বাগান মালিক ও কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান চাষীরা। এ মৌসুমে আশানারুপ কুল বিক্রি হবে বলেও আশা তাদের।
এসএ/