ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৪ মে ২০২৪,   বৈশাখ ৩০ ১৪৩১

শার্শায় প্রথম ডোজ পেল ২৮ হাজার শিক্ষার্থী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫৮ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বুধবার

দেশব্যাপী ২৬ ফেব্রুয়ারির পর প্রথম ডোজ টিকা সমাপ্তির ঘোষণার পর যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে টিকা প্রত্যাশিদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। টিকাদান কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্বের কোন বালাই নেই। 

গত ডিসেম্বর থেকে আজ বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টা পর্যন্ত শার্শা উপজেলায় মোট ২ লাখ ৪১ হাজার ৯৩৩ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ১২ হাজার ৯২৪ জনকে দেওয়া হয়েছে প্রথম ডোজের টিকা। এর মধ্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১২ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে ২৮ হাজার শিক্ষার্থী করোনাভাইরাস টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। যা নাভারন ফজিলাতুননেছা মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকাদানের মাধ্যমে এই কর্মসূচি শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে বেনাপোল পৌর বিয়ে-বাড়ি কমিউনিটি সেন্টার, শার্শা হাইস্কুল ও বাগআঁচড়া ডা. আফিল উদ্দিন কলেজ ক্যাম্পাসে টিকা দেওয়া হয়। 

শার্শা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চৌধুরী হাফিজুর রহমান জানান, উপজেলার সবগুলো স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার ১২ থেকে ১৮ বছরের ২৮ হাজারের অধিক শিক্ষার্থীকে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া যে সমস্ত শিক্ষার্থী টিকা কেন্দ্রে আসেনি। তাদের জন্য একটা নির্দিষ্ট দিন ঠিক করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। শার্শার ২৮ হাজারের অধিক শিক্ষার্থীকে ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলি। তিনি বলেন, ম্যানুয়ালী টিকাদান কার্ড পূরণ করে এইচএসসি পরীক্ষার নিবন্ধন কার্ড, জন্মসনদ ও মোবাইল ফোনের নম্বর টিকাদান কেন্দ্রে জমা দিয়ে টিকা গ্রহণ করছেন শিক্ষার্থীরা।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মো. নুরুজ্জামান বলেন, উপজেলার ৮৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫টি হাইস্কুল, ৩০টি মাদ্রাসা এবং ৯টি কলেজ রয়েছে। 

টিকা দিতে আসা জেসমিন নাহার অনিয়মের অভিযোগ তুলে বলেন, টিকাদান কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্বের কোন বালাই নেই। যেন উৎসব চলছে। নানা অনিয়মের মধ্য দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৩ থেকে ৯ হাজার জনকে এই টিকা দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে টিকা পেয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন অনেকে। বিথি খাতুন (২৪) বলেন, টিকা পেয়ে আমরা খুব খুশি। আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ।

দ্বাদশ শ্রেণীর আরেক ছাত্রী ফাহমিদা আক্তার বলেন, টিকা দিয়ে নিজেকে সুরক্ষিত মনে হচ্ছে। এত দিন বড়রা টিকা নিয়েছেন। এখন আমরাও নিলাম। এরপর থেকে কলেজ কিংবা বাইরে যেতে ভয় করবে না।

সন্তানদের টিকা দিতে পেরে অভিভাবকেরাও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। অধ্যাপক বখতিয়ার খলজি নামের এক অভিভাবক বলেন, এখন নতুন করে ওমিক্রনের সংক্রমণ শুরু হয়েছে। তাই ছেলেকে টিকা দিতে পেরে ভালো লাগছে। 
কেআই//