ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

ডিজিটাল কারেন্সি চালু হলে বাড়বে স্বচ্ছতা, কমবে দুর্নীতি (ভিডিও)

তৌহিদুর রহমান

প্রকাশিত : ১১:২৪ এএম, ২ মার্চ ২০২২ বুধবার

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশ ঘটায় দেশে ‘ডিজিটাল কারেন্সি’ চালুর সুযোগ বাড়ছে। অর্থনীতিবিদ ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেন্দ্রিয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে দেশে ইলেকট্রনিক কারেন্সির প্রচলন করা সম্ভব হলে আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা বাড়বে; সঙ্কুচিত হবে দুর্নীতির সুযোগও।

২০১৯ সালে দেশে ডিজিটাল লেনদেনের হার ছিল প্রায় ৩০ শতাংশ। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে যা উন্নীত হয়েছে ৪৩ শতাংশে।  

কেনাকাটা, সরকারি ভাতা গ্রহণ, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, টিকিট ক্রয়-বিক্রয়, বীমা প্রিমিয়াম, মোবাইল ফোন রিচার্জসহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক লেনদেনে ব্যবহার হচ্ছে ডিজিটাল মাধ্যম। 

এমন প্রেক্ষাপটে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত সম্প্রসারিত হওয়ায় সুযোগ এসেছে ডিজিটাল কারেন্সি প্রচলনের। নগদ বা নোটের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক মুদ্রা চালুর পক্ষে তারা। 

পিআরআই নির্বাহী পরিচারক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “টেকনোলজিক্যাল অ্যাডভানটেজ আমাদেরও করা দরকার। যার মাধ্যমে আগামীতে দেশকে ই-কারেন্সিতে নিয়ে যেতে পারি এবং প্রত্যেকটি ট্রান্সজেশন মনিটরিং হবে। ইলেক্ট্রনিক টাকার সুবিধা হচ্ছে, এটা লেজার ভিত্তিতেই কাজ করবে, টাকা কার কাছে আছে সেটা সেন্ট্রাল ব্যাংক জানতে পারবে।”

ডিজিটাল কারেন্সি বা ইলেকট্রনিক মুদ্রা চালু হলে একদিকে যেমন নোট ছাপানোর খরচ কমবে; অন্যদিকে দ্রুত নিস্পত্তি হবে লেনদেন। বাড়বে স্বচ্ছতাও। এছাড়া দুর্নীতি বা আর্থিক অপরাধ কমে আসবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

শিওর ক্যাশের সিইও ড. শাহাদাৎ বলেন, “টাকার একটা বড় অংশ ডিজিটাল হয়ে গেছে, ব্যাকঅ্যান্ডে ফিজিক্যাল টাকা আছে। ছাপিয়ে ছাপিয়ে কেন টাকা খরচ করা, না ছাপিয়ে সেন্ট্রাল ব্যাংক প্রযুক্তি ব্যবহার করে যদি ডিজিটাল কারেন্সি করতে পারে তা হবে ভেরি অ্যাপিসিয়েন্ট। ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য এটা হবে খুব মানানসই একটা প্রজেক্ট।”

ইলেকট্রনিক মুদ্রা চালুর বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককের প্রস্তুতি শুরুর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। 

বাংলাদেশ একাডেমী ফর সিকিউরিটিস মার্কেট মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, “ক্যাসের পেমেন্টের পরের স্তর চেকে পেমেন্ট। চেক পেমেন্টের পরে আসে ক্রেডিট-ডেবিট কার্ড। তারপরে এই ডিজিটাল মানি বা বিট কয়েন এগুলো আসতে পারে। এটা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক উৎসাহী, তবে তাড়াতাড়ি ইম্পিমেন্টে যেতে চায় না।”

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ২০২৩ সালে ডিজিটাল কারেন্সি চালুর ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে চীনও এই কারেন্সি চালু করেছে।

এএইচ/